Sunday, March 20, 2022

কাউনিয়ায় নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী দিয়ে 'বীর নিবাস' নির্মাণ, দেয়ালে ধস!

 


নিজস্ব প্রতিবেদক 
রংপুরের কাউনিয়ায় অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর উপহার 'বীর নিবাস' নির্মাণে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের সিংহেরকুড়া নলঝুঁড়ি এলাকার দরিদ্র বীর মুক্তিযোদ্ধা বিনোদ চন্দ্র বর্ম্মনের 'বীর নিবাস' বাড়ী নির্মাণ শেষ হবার আগে ধসে পড়েছে একাংশের দেয়াল। এতে বরাদ্দ পাওয়া বাড়ী নির্মাণ নিয়ে উদ্বিগ্ন রয়েছে মুক্তিযোদ্ধারা। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে উপজেলা প্রশাসন কর্তৃপক্ষ।

সংশ্লিষ্টরা জানান, মুজিব জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহারে প্রথম দফায় একটি প্যাকেজে ১২টি বাড়ী উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে পৃথক ভাবে নির্মাণ করছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কেয়া এন্টারপ্রাইজ, রংপুর। প্রতিটি বাড়ী নির্মাণে প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ১৩ লাখ ৪৩ হাজার ৬১৮ টাকা। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারী টেন্ডার প্রাক্কলন অনুযায়ী নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করে উপজেলা প্রশাসন।

প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া এই উপহার পেয়ে যতটা খুশি হয়েছিলেন অসহায় বীর মুক্তিযোদ্ধা বিনোদ চন্দ্র বর্ম্মন, নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের ফলে ঘরের দেয়াল ধসে পড়ায় ততটাই নাখোশ হয়েছেন জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। তিনি বলেন, ঘর নির্মাণ শেষ না হতেই গত বৃহস্পতিবার রাতে হঠাৎ ঘরের দেয়ালের ইট ধসে পড়েছে। আমার ছেলে নির্মাণ কাজে গড়িমসি দেখে পিআইও সাহেবকে জানালে তিনি রেগে গিয়ে বলেছেন আর কেউতো অভিযোগ করে না, শুধু আপনারই যত অভিযোগ। শেষ বয়সে এসে প্রধানমন্ত্রীর উপহার ভোগ করতে পারি কী-না সন্দেহ।

কেয়া এন্টারপ্রাইজ রংপুরের বরাদ্দকৃত 'বীর নিবাস' প্রকল্পের কাজ পেয়ে উপজেলার মীরবাগ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মঞ্জুম আলী দরপত্রের প্রাক্কলন কিনে নেন। 'বীর নিবাস' নির্মাণে ব্যবহৃত ইট-সিমেন্ট পরিমাপ খুবই নিম্নমানের হলেও তা মানতে নারাজ ঠিকাদার গং। দোষ ভিড়ালেন মিস্ত্রিদের ওপর।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আহসান হাবীব সরকার জানান, অভিযোগ পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়েছি। মিস্ত্রির কিছুটা গাফলতির কারণে এমনটা হয়েছে। ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিনা তারিন জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আসলে কিউরিং কম হওয়ায় এবং রেশিওর মেজারমেন্ট ঠিক না থাকায় ঘটনা ঘটেছে। ঠিকাদারকে ভেঙ্গে পরা অংশ নতুন করে নির্মাণ করতে বলে দিয়েছি।

No comments:

Post a Comment