Wednesday, April 27, 2022

কাউনিয়ায় সাংবাদিক সম্মেলনে শিক্ষক প্রতারণার অভিযোগ

 

নিজস্ব প্রতিবেদক 
রংপুরের কাউনিয়া উপজেলায় ভাঙ্গামাল্লী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে সাংবাদিক সম্মেলনে টাকা নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ করেছেন টেপামধুপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক দেব প্রসাদ সরকার। বিষয় নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন শিক্ষক দেব প্রসাদ সরকার। তবুও এর কোন সুরাহা হয়নি অধ্যাবধি পর্যন্ত।

কাউনিয়া গালস স্কুল মোড় রসিদ সুপার মার্কেটের তৃতীয় তলায় বুধবার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ কালে প্রতারণার শিকার সহকারি শিক্ষক দেব প্রসাদ সরকার বলেন প্রাথমিক গণ শিক্ষা মন্ত্রণালয় যেসব গ্রাম বা মৌজায় প্রাথমিক বিদ্যালয় নেই সেখানে শর্তসাপেক্ষ বিধি মোতাবেক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার অনুমতি প্রদান করে থাকে।

সে মোতাবেক উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডে প্রাথমিক বিদ্যালয় বিহীন তালুক সাহাবাজ মৌজায় এলাকার কিছু বিদ্যানুরাগী ব্যক্তির প্রচেষ্ঠায় ২০০৮ সালে তালুক সাহাবাজ বে-সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (৩য় ধাপ) ৩৩ শতক জমির উপর প্রতিষ্ঠা করা হয়। জমি দাতা  হিসেবে ওই মৌজার বাসিন্দা দেলোয়ার হোসেনের ছেলে শাহিনুর আলমকে প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।

দেব প্রসাদ সরকার বলেন, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি প্রধান শিক্ষক আমার স্ত্রী অনিমা রাণীকে সহকারি শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেন। আমি বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণে সে সময় এক লক্ষ টাকার অধিক ব্যয় করি। এছাড়াও বিদ্যালয়ের মঞ্জুরীর জন্য উপজেলা, জেলা শিক্ষা কমিটি, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরসহ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিয়ে আসার জন্য টেপামধুপুর ইউনিয়নের ভাঙ্গামাল্লী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তাজুল ইসলাম দায়িত্বভার নেন।

তৎকালীন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি চরগনাই হয়বৎখাঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মজিদুল ইসলামসহ উপজেলার বিশিষ্ট চারজন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের উপস্থিতিতে ভাঙ্গামাল্লী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তাজুল ইসলামকে নগদ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা প্রদান করি এবং বিদ্যালয়টি শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের তালিকা ভূক্ত হওয়ার পর আরো লক্ষ ৫০ হাজার টাকা প্রদান করব বলে সময় নেই।

কিন্তু গত ২৬ অক্টোবর ২০১৬ তারিখে জেলা শিক্ষা কমিটির যাচাই বাছাইয়ে আমার স্ত্রী অনিমা রাণী সরকারের নাম বাদ দিয়ে অন্য একজনের নাম সংযোজন করেন। বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে চড়া সুদে ঋণ নিয়ে ওই প্রধান শিক্ষককে টাকা গুলো দিয়েছি। ব্যাপারে শালিস বৈঠকও হয়েছে। উক্ত প্রধান শিক্ষক কাউনিয়া পীরগাছা উপজেলার অনেক প্রাথমিক বিদ্যালয় অনুমোদন করে দেওয়ার কথা বলে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার একাধিক অভিযোগ ওঠেছে।

শিক্ষক দেব প্রসাদ সরকার জানায়, তার দুটো কিডনি নষ্ট হওয়ার পথে মাসে আট-দশবার ড্যায়ালাইসিস করতে হয়। এতে খরচ হয় প্রায় ৫০ হাজার টাকা। ভাল চিকিৎসার অভাবে সে যেকোন সময় মারা যেতে পারেন। তাই তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার, শিক্ষা অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট সবার কাছে টাকা গুলো উদ্ধারে আইনী সহায়তা কামনা করছেন।

সাংবাদিক
সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন টেপামধুপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোজাম্মেল হক বুলবুল, উপজেলা কমিউনিস্ট পার্টির নেতা গোবিন্দ বর্মনসহ উপজেলার প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।

No comments:

Post a Comment