তিস্তা নদী বেষ্টিত যে সকল চরে কোন ফসল হতো না সে সব চরের জমিতে এখন ভুট্টার ভাল ফলন হচ্ছে। মানব খাদ্যের পাশাপাশি মাছসহ গবাদী পশুপাখির খাদ্য প্রণালীতে ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ায় ভুট্টার চাহিদা অনেক বেশী। তাই ফলন ও দাম দুটোই ভাল পেয়ে ভুট্টা চাষিরা বেজায় খুশি। ফলে ভুট্টা চাষিদের সুদিন ফিরেছে।
উপজেলার চর বিশ্বনাথ, চর রাজীব, চর আজমখাঁ, চর গনাই, চর গদাই, গোপিডাঙ্গা, আরাজি হরিশ্বর, পশ্চিম হরিশ্বর, চর নাজিরদহ, প্রাণনাথ চর, চর চতুরা মিলে ২৯টি চরাঞ্চলের দিগন্ত মাঠ জুঁড়ে ব্যাপক ভাবে ভুট্টা চাষাবাদ হয়েছে। চর আজমখাঁ গ্রামের ভুট্টা চাষি নুর মোহাম্মদ জানান, তিনি মৌসুমে আগাম জাতের ভুট্টা এক বিঘা জমিতে বোপন করেছেন। ফলনো মোটামুটি ভাল এসেছে। সেই সাথে তিনি ভাল দাম পাওয়ার আশা ব্যক্ত করেন।
নাজির দহ গ্রামের কৃষক মেনাজ উদ্দিন জানান, এবার দুই একর জমিতে ভুট্টা চাষ করেছেন। এতে তার খরচ হয়েছে ষোল হাজার টাকার মতো। তিনি ৫০ থেকে ৫৫ মন ভুট্টা ফলনের আশা করছেন। বর্তমানে ভুট্টার বাজার মূল্য ৯শ থেকে এক হাজার ৩শ টাকা। গোপীডাঙ্গা গ্রামের ওসমান আলী জানান, ভুট্টা আবাদের সঙ্গে সাথী ফসল হিসেবে মরিচ-টমেটো এবং শাকসবজি চাষ করে বাড়তি লাভ পাওয়া যায়। ভুট্টার পাতা গো-খাদ্য ও গাছ রান্নায় জ্বালানীর কাজে ব্যবহার হয়।
ভুট্টা চাষি ছানোয়ার ও ফুলু মিয়া জানান, ভুট্টা চাষে কিছু সমস্যা আছে তা হলো মাড়াই ও বাজারজাত করণ। তাছাড়া সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা ও পর্যাপ্ত ব্যাংক ঋনের অভাব রয়েছে। কৃষকরা সহজ শর্তে কিস্তিতে মাড়াই মেশিন, কৃষি ঋণ, চাষাবাদে আধুনিক প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণ, উন্নত মানের বীজ সরবরাহ, সংরক্ষণাগার ও বিপনন ব্যবস্থা চালুর দাবী জানায়।
No comments:
Post a Comment