এ ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়। সেদিনের সংঘর্ষে গুরুতর আহতবস্থায় শিশু আঞ্জুয়ারা ও আমেনা বেগম (৫০) কে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই শিশুর মৃত্যু হয়। আর আব্দুল হামিজ (৫৫), তার ছেলে আমজাদ হোসেন (৩৩), সিনবাদ (২৬) ও আফজাল হোসেন (৩৫) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ নিয়ে থানায় মামলা হলে বিশ্বনাথ গ্রামের ইব্রা মিয়া, খলিল মিয়া, মজনু মিয়া ও মোস্তফাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। 
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বিশ্বনাথের আব্দুল হামিজের বসতভিটার কিছু অংশ প্রতিবেশী আব্দুল হাকিম নিজের দাবি করে এক মাস আগে সীমানা নির্ধারণ করেন। সেই সঙ্গে জমিতে থাকা গাছ কেটে ফেলেন। এই সীমানা নিয়ে সন্দেহ হলে হামিজ ও তার স্বজনেরা ঘটনার দিন বিকেলে পুনরায় সীমানা নির্ধারণ করতে যান। এতে হাকিমের পক্ষ বাধাঁ দেয়। এ সময় উভয় পক্ষ বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে। 
একপর্যায়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে হামিজসহ ছয়জন এবং হাকিমের পক্ষের তিনজন আহত হন। পরে হামিজসহ ছয়জনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এরমধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় শিশু আঞ্জুয়ারা ও আমেনাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় হামিজের চাচাতো ভাই আব্দুল সোলেমান বাদী হয়ে কাউনিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন। 
কাউনিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাসুমুর রহমান জানান, জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে উভয় পক্ষের লোকজনের মধ্যে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার মামলা দায়ের হলে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। আহত শিশু আঞ্জুয়ারা বৃহস্পতিবার ভোর ৩টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছে। তার মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর ওই শিশুর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

No comments:
Post a Comment