Saturday, May 21, 2022

কাউনিয়ায় ঝড়ে লন্ডভন্ড মাদ্রাসা খোলা আকাশের নীচে পাঠদান

 

নিজস্ব প্রতিবেদক 
রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার নিভৃতপল্লী মৌলভী বাজার এলাকায় আল ইসলাহ নুরানী কওমী মাদ্রাসায় নেই কোনো ভবন। কোনো রকমে টিনের চালায় শতাধিক শিক্ষার্থী নিয়ে টেনেটুনে পাঠদান কার্যক্রম চালালেও বিধিবাম, গত দুদিনের কালবৈশাখী ঝড়ে সেই টিনের চালাও ভেঙ্গে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। তাই বাধ্য হয়েই খোলা আকাশের নীচে ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করেই চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান।

এলাকাবাসী জানায় টিনসেটে তৈরী ঘরের ৪টি শ্রেণীকক্ষ কাল বৈশাখী ঝড়ে ভেঙ্গে পড়ে। তিস্তা নদী বেষ্টিত চরাঞ্চলের মানুষের মানসম্মত শিক্ষা প্রসারে ২০১৫ সালে শায়েখ মোয়াজ বিন জামালের উদ্যোগে আতিকুল ইসলামসহ স্থানীয় শিক্ষানুরাগী বিশিষ্টজনের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় আল ইসলাহ নুরানী মাদ্রাসা হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। প্রতিষ্ঠালগ্নে মসজিদ ঈদগাঁ মাঠের ১৪ শতাংশ জমির উপর একটি টিনসেট ঘরে শতাধিক শিক্ষার্থী নিয়ে কওমী শাখায় পাঠদান শুরু করে।

এলাকাবাসীর সফল প্রচেষ্টায় ২০১৯ সালে পিএসসি এবতেদায়ী পরীক্ষায় ৩০ জন শিক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করে শতভাগ পাশ ছাড়াও ১৩ জন বৃত্তি পাওয়ার গৌরবও অর্জন করেছে। চলতি বছর থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পাঠদান চালু করা হয়। বর্তমানে মাদ্রাসার ৫০৬ জন ছাত্র-ছাত্রীর জন্য পর্যাপ্ত শ্রেণিকক্ষ না থাকায় মাঠে বসেই ক্লাস করতে হয় শিক্ষার্থীদের। বিদ্যালয়ে ১৪ জন শিক্ষক পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। পাঁকা ভবন বেঞ্চসহ নানা সংকটে মাদ্রসার শিক্ষক শিক্ষার্থীদের পোহাতে হচ্ছে সীমাহীন দুর্ভোগ।

মাদ্রাসার সুপার মো. জিহাদ বিন বেলাল জানান, আপনারা দেখছেনই মাদ্রাসা ভেঙ্গে গেছে, মাঠে খোলা আকাশের নীচে ক্লাশ চালাচ্ছি। তিস্তা চরাঞ্চালের অবহেলিত শিশুদের শিক্ষার আলো জ্বালাতেই মাদ্রাসা স্থাপন করা হলেও বর্তমানে চরম ভোগান্তীতে পড়েছি। মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মো. আতিকুল ইসলাম জানান, আমরা গরীব এলাকার মানুষ, অনেক আশা বুকে নিয়ে মাদ্রাসাটি স্থাপন করেছি কিন্ত তা ঝড়ে লন্ডভন্ড হওয়ায় আমরা দিশেহারা। মাদ্রাসাটির একটি ভবনসহ সরকারের সাহায্য সহযোগিতা কামনা করছি।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, আমরা রোদ বৃষ্টিতে নাকাল হয়ে পড়েছি। আমরা আমাদের অবস্থা থেকে মুক্তির জন্য সরকারের উর্ধ্বতন মহলের সুদৃষ্টি কামনা করছি। বিষয়টি সম্পর্কে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছা. তাহমিনা তারিন জানান, বিষয়টি আমি জেনেছি, ছবিসহ ইউপি চেয়ারম্যানের সুপারিশকৃত আবেদন পেলেই আমি দ্রুত ব্যবস্থা নিবো।

-এমআর

No comments:

Post a Comment