থানা ও পরিবারিক সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার টেপামধুপুর ইউনিয়নের উত্তর চর আজমখাঁ গ্রামের আজিম উদ্দিনের ছেলে সাইদুল ইসলাম (২৪) গত শুক্রবার সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। সকাল থেকে রাত অবধি সে আর বাড়িতে ফিরে আসেনি। তাকে আত্মীয়-স্বজনসহ বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ করে পাওয়া যায়নি।
পরদিন শনিবার সকালে প্রতিবেশি এক লোক বিশ্বনাথ গ্রামের বাসিন্দা হারেজ আলীর ছেলে রফিকুল ইসলাম (৩৬) এর ভুট্টা ক্ষেতে ঘাস তুলতে গিয়ে অনেক রক্ত দেখতে পায়, যা কিছু বাদাম গাছ দিয়ে ঢেকে রাখা। তাৎক্ষনিক ভাবে এ খবর ছড়িয়ে পড়ে। নিমিষেই ঘটনাস্থলে শতশত মানুষের উপস্থিতি ঘটে। ঘটনাস্থলে গিয়ে সাইদুল ইসলামের পরিবারসহ এলাকাবাসীর সন্দেহ হয়।
পরে কাউনিয়া থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত হয় এবং জমির মালিক রফিকুল ইসলামকে আটক করে প্রাথমিক ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করে। আটক রফিকুলের দেওয়া তথ্যমতে তার বসত ঘরের মেঝে খুরে পুতে রাখা সাইদুল ইসলাম (২৪) এর রক্তমাখা লাশ উদ্ধার করা হয়।
রফিকুল ইসলাম প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায় তার চাচাতো ভাই সাইদুল ইসলাম প্রায় প্রায়ই তার স্ত্রীকে কু-প্রস্তাব দিত। সে এ বিষয়ে জানতে পেরে প্রতিহিংসা বসত এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে বলে পুলিশ প্রাথমিক ভাবে ধারনা করছে। তবে তার সাথে খুনের ঘটনায় আরো কেউ জড়িত আছে কী-না পুলিশ তা ক্ষতিয়ে দেখছে।
কাউনিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাসুমুর রহমান বলেন, রফিকুল ইসলামকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। নিহত সাইদুল ইসলামের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়াও পিবিআই ও সিআইডি পুলিশের বিশেষ টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
-এমআর

No comments:
Post a Comment