Sunday, December 22, 2024

কাউনিয়ায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শহীদদের কবর জিয়ারত

নিজস্ব সংবাদদাতা

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে (জুলাই-আগষ্ট) নিহত কাউনিয়ার শহীদদের কবর জিয়ারত করেছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব মো. আকতার হোসেন।

তিনি রোববার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে কাউনিয়া উপজেলার শহীদবাগ ইউনিয়নের ভূতছাড়া মাঝাপাড়ায় শহীদ বদিউজ্জামান ও একই ইউনিয়নের বল্লভবিষু গুলশান মোড় এলাকার শহীদ আব্দুল লতিফ মিয়ার কবর জিয়ারত করেছেন। পরে তিনি শহীদ পরিবারের লোকজনের সাথে কথা বলে সমবেদনা প্রকাশ করেন।


এ সময় সাথে ছিলেন- জাতীয় নাগরিক কমিটির সংগঠক মো. আলমগীর হোসেন নয়ন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন রংপুরের মুখপাত্র মো. শামীম হোসেন, মো. আরিফুল ইসলাম, শিপুন আহম্মেদ হিমু, শরিফুল ইসলাম প্রমূখ।

জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব মো. আকতার হোসেন বলেন, একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য, একটি বৈষম্যহীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন নিয়ে জুলাই-আগষ্ট গণমানুষেরা যে আন্দোলন করেছিল সে আকাঙ্খা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করবে জাতীয় নাগরিক কমিটি।

এমআর

Thursday, December 19, 2024

কাউনিয়ায় মাদক সেবনের অপরাধে যুবকের কারাদন্ড

নিজস্ব সংবাদদাতা

রংপুরের কাউনিয়ায় প্রকাশ্যে মাদকদ্রব্য (গাঁজা ও ইয়াবা) সেবনের অপরাধে জিহাদুল ইসলাম (২৭) নামে এক যুবককে ৬ মাস বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সেইসাথে ওই যুবকের একশো টাকা অর্থদন্ড করা হয়।


বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) উপজেলার টেপামধুপুর ইউনিয়নের চৈতারমোড় বাজেমজকুর এলাকা থেকে তাকে আটকের পর ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এ রায় দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. মহিদুল হক। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতকে সহযোগিতা করেন জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। দন্ডপ্রাপ্ত জিহাদুল ইসলাম উপজেলার টেপামধুপুর ইউনিয়নের বাজেমজকুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। পেশায় তিনি শ্রমিক।


ভ্রাম্যমাণ আদালতের পেশকার মো. ফারুক হাসান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই যুবককে এলাকায় প্রকাশ্যে মাদকদ্রব্য সেবনরত অবস্থায় আটক করা হয়। পরে ঘটনাস্থলে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ওই যুবক মাদক সেবন করার কথা স্বীকার করেন। ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক তাকে মাদক সেবনের অপরাধে ৬ মাস বিনাশ্রম কারাদন্ড এবং একশো টাকা অর্থদন্ডের রায় প্রদান করেন। জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে তাকে রংপুর জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।


উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মহিদুল হক বলেন, মাদকদ্রব্য আইনের ধারায় ওই যুবককে বিনাশ্রম কারাদন্ড ও অর্থদন্ড করা হয়েছে। মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। এছাড়া শীঘ্রই মাদক বিক্রি এবং সেবন বন্ধে কাউনিয়ায় সেনাবাহিনীর অভিযান শুরু হবে।


এমআর

কাউনিয়ায় আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

নিজস্ব সংবাদদাতা

সন্ত্রাস, মাদক, জুয়া, নির্মুল ও সহিংসতা এড়ানোসহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে রংপুরের কাউনিয়ায় আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) উপজেলা প্রশাসন সভাকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মহিদুল হকের সভাপতিত্বে সভায় আইনশৃঙ্খলা বিষয়ে বক্তব্য রাখেন- প্রাণীসম্পদ অফিসার ডা: এ আর এম আল মামুন, প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান জেমি, সমাজসেবা অফিসার সামিউল ইসলাম, সাপ্তাহিক প্রত্যাশার আলো পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক সারওয়ার আলম মুকুল, এশিয়ান টেলিভিশনের উপজেলা প্রতিনিধি মিজানুর রহমানসহ অনেকে।

তবে কাউনিয়া থানার ওসি তদন্ত মোস্তফা কামাল উপস্থিত থাকলেও তিনি কোন বক্তব্য দেননি।

সভায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় চুরি, মাদক, জুয়া বেড়ে যাওয়া ও অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, অদক্ষ চালক দিয়ে ট্রাক্টর কাঁকড়া গাড়ীতে পরিবহন বন্ধসহ বিভিন্ন বিষয়ে নানা সমস্যা উঠে আসে।

সভার সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহিদুল হক বলেন, সার্বিক বিষয় নিয়ে রেজুলেশন করা হবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখতে সবার সহযোগিতা কামনা করেন।

এমআর

Tuesday, December 17, 2024

কাউনিয়ায় আগুনে পুড়লো কৃষি শ্রমিকের বসতবাড়ি

নিজস্ব সংবাদদাতা

রংপুরের কাউনিয়ায় বিদ্যুতের সট সার্কিটের আগুনে এক কৃষি শ্রমিকের বসতবাড়ির চারটি ঘর পুড়ে গেছে। সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের তালুক সাহাবাজ আটানী গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে। অগ্নিকান্ডে প্রায় সাত লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্থ আবু তালেব।

স্থানীয়রা জানান, সোমবার সন্ধ্যার পরে কৃষি শ্রমিক আবু তালেবের বসতবাড়ীর ঘরে আগুন দাউ দাউ করে জ্বলতে দেখতে পায় পরিবারের লোকজন। তাদের চিৎকারে প্রতিবেশী লোকজন ও ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নেভানো চেষ্টা করেন।

কিন্তু আগুন দ্রুত পাশের ঘরগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। আগুনের লেলীহান শিখায় আবু তালেবের দুইটি ঘর, আব্দুর রহিমের দুইটি ঘর এবং ধান, চাল, হাঁস, মুরগি, আসবাবপত্র ও কাপড় পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

কাউনিয়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশন ইনচার্জ শামসুল হক সরকার বলেন, খবর পেয়ে দুইটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। বিদ্যুতের সট সার্কিট থেকে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহিদুল হক বলেন, তালুক সাহাবাজ আটানী গ্রামে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারটি আবেদন করলে সরকারি ভাবে সহায়তা করা হবে।


এমআর

Monday, December 16, 2024

কাউনিয়ায় মহান বিজয় দিবস পালিত

নিজস্ব সংবাদদাতা

রংপুরের কাউনিয়ায় যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয়েছে মহান বিজয় দিবস। উপজেলা প্রশাসন আয়োজনে দিবসের শুরুতে থানা প্রাঙ্গণে একত্রিশবার তোপতধ্বনি ও মোফাজ্জল হোসেন সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়স্থ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পূষ্পস্তবক অর্পণ, নিরবতা পালন ও দেশের জন্য আত্মোৎসর্গকারী বীর শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়।

পরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে সমবেত জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বেলুন ও শান্তির পায়রা উড্ডয়ন শেষে চারু-কারু ও স্থানীয় ভাবে উৎপাদিত শিল্প পণ্যের দিনব্যাপী আড়ম্বরপূর্ণ বিজয় মেলা অনুষ্ঠিত হয়। এতে গ্রামীন হস্তপণ্যের সমারহে ১৫টি স্টোল অংশ নেয়।

উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে বীর মুক্তিযোদ্ধা/শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সংবর্ধনা, চিত্রাংকন-ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরুস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এছাড়া হাসপাতাল ও এতিমখানা গুলোতে উন্নত খাবার পরিবেশন করা হয়।

অনুষ্ঠানে ইউএনও মো. মহিদুল হক, এসিল্যান্ড মো. লোকমান হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল ইসলাম,  বীর মুক্তিযোদ্ধা লিয়াকত আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল ইসলাম, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলহাজ্ব এমদাদুল হক ভরসা, সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মোজাহারুল আলম বাবলু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শফি,

বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিকসহ সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।


এমআর

Saturday, December 14, 2024

রংপুর মেডিকেলে উন্নত চিকিৎসা পাচ্ছে হৃদরোগীরা, সেবা বন্ধ করতে মরিয়া সিন্ডিকেট

বিশেষ প্রতিবেদক 

রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে কার্ডিওলজি বিভাগে স্থাপিত 'ক্যাথল্যাব' (কার্ডিয়াক ক্যাথেটারাইজেশন ল্যাবরেটরি) ২০১২ সালে চালু হয়। এরপর দীর্ঘ সময় ধরে যান্ত্রিক ত্রুটিসহ নানা কারণে এর কার্যক্রম বন্ধ ছিল। রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় সংশ্লিষ্ট বিভাগের চিকিৎসকদের প্রচেষ্টায় ২০১৯ সালে আবার এর কার্যক্রম চালু করা হয়। এরপর থেকে ধারাবাহিকভাবে এর কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন চিকিৎসকরা। 

রমেকে এখন ক্যাথল্যাবের চিকিৎসার সফলতা ৯৯ দশমিক ২ শতাংশ, যা অভাবনীয় বলে চিকিৎসকরা বলছেন। পুনরায় ক্যাথল্যাব চালু হওয়ায় এখন রংপুরে হৃদরোগীদের চিকিৎসা সেবা চালু হয়েছে। এর মধ্যদিয়ে হার্টের এনজিওগ্রাম, রক্তনালিতে স্টেন্ট (রিং) বসানো এবং পেসমেকার স্থাপনের মতো গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে রমেক হাসপাতালে। এতে হৃদরোগীদের চিকিৎসা ব্যয় যেমন অনেক কমেছে, তেমনি রোগীদের ভোগান্তিও লাঘব হয়েছে।


তবে রংপুর মেডিক্যালের কার্ডিওলজি বিভাগের ক্যাথল্যাব বিভাগের চিকিৎসকের এমন সফলতায় উত্তরাঞ্চলের হৃদরোগীরা খুশি হলেও টনক নড়েছে মেডিকেলের এক সিন্ডিকেটের। হৃদরোগীরা রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা পাওয়ায় আর ঢাকা মুখী হচ্ছেন না। এতেই পেটে লাথি পড়েছে সিন্ডিকেটের।


অনুসন্ধানে জানা যায়, রমেকে ক্যাথল্যাব চালুর পূর্বে হৃদরোগীদের কিছু  চিকিৎসক ও দালাল মিলে ঢাকার বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে পাঠাতেন একটি সিন্ডিকেট। এতে বড় মাফের কমিশন পেতো এ সিন্ডিকেট। তবে রমেকে ক্যাথল্যাব চালু হওয়ায় সেই সিন্ডিকেট ঈর্ষান্বিত হয়ে উঠেছে।


অভিযোগ উঠেছে, সেই সিন্ডিকেট এবার ৩ রোগীকে দিয়ে রমেকের কার্ডিওলজি বিভাগের এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করে রমেকের ক্যাথল্যাবের সেবা বন্ধ করার চেষ্টা করছেন।


রমেক হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২০১১-১২ অর্থবছরে হাসপাতালে কার্ডিওলজি বিভাগে প্রথমবার ক্যাথল্যাব চালু হয়। সে সময় দেড় শতাধিক এনজিওগ্রাম, রিং বসানো এবং পেসমেকার স্থাপন করেছেন চিকিৎসকরা। তবে করোনার সময়ে এবং মেশিন নষ্টসহ বিভিন্ন কারণে দীর্ঘ সময় ক্যাথল্যাবের কার্যক্রম বন্ধ ছিল। নতুন করে ল্যাবটি চালু হওয়ায় হৃদরোগীদের চিকিৎসা ব্যয় অনেক কমেছে।


কারণ বেসরকারি হাসপাতালে হার্টের এনজিওগ্রাম করতে খরচ হয় ১৭-১৮ হাজার টাকা। সেখানে সরকারি হাসপাতালে খরচ হয় ২ হাজার টাকা। একেকটি রিং কিনতে ৭০ হাজার থেকে প্রকারভেদে দেড় লাখ টাকা লাগে। রিং বসাতে সরকারি হাসপাতালে খরচ হয় ২ হাজার টাকা। সেখানে বেসরকারি হাসপাতালে রিং বসানোর চার্জ ৭০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা এবং পেসমেকার যন্ত্রের দাম দেড় লাখ থেকে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত। পেসমেকার স্থাপনে বেসরকারি হাসপাতালে খরচ হয় ৬০ হাজার টাকার বেশি। সরকারি হাসপাতালে খরচ হয় ২ হাজার টাকা।


রমেক হাসপাতালে হৃদরোগের চিকিৎসা নিয়েছেন পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার আব্দুল মজিদ (৫০)। চিকিৎসক জানিয়েছিলেন তার হার্টে রিং স্থাপন করতে হবে। কিন্তু ঢাকায় গিয়ে রিং স্থাপন ব্যয়বহুল হওয়ায় তিনি তা করতে পারছিলেন না। চলতি বছরে মার্চ মাসে রমেক হাসপাতালে রিং স্থাপন করে তিনি সুস্থ আছেন।


গাইবান্ধার পলাশবাড়ীর আব্দুল জব্বার (৬০) হৃদরোগ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। তার হার্টে রিং স্থাপন জরুরি হয়ে পড়ে। আর্থিক সংকটের কারণে ঢাকায় গিয়ে চিকিৎসা নিতে পারছিলেন না। কিন্তু রমেক হাসপাতালে এনজিওগ্রাম করে নিয়মিত চিকিৎসা নিয়ে তিনি এখন সুস্থ আছেন।


হৃদরোগ নিয়ে চিকিৎসা নেয়া রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার বড় বিল ইউনিয়নের আব্দুল বাতেন মিয়া বলেন, হৃদরোগ নিয়ে রমেকে ভর্তি হয়েছিলাম। গত ১৮ নভেম্বর আমার হার্টে রিং স্থাপন করা হয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো আছি এখন। প্রতিদিন নামাজ পড়ে চিকিৎসকের জন্য দোয়া করি।


রমেক হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, আমরা প্রায় ছয় বছর ধরে চেষ্টা চালিয়ে কার্ডিওলজি বিভাগের ক্যাথল্যাব পুনরায় সচল করেছি। হার্টের সর্বোচ্চ এবং আধুনিক চিকিৎসা বলতে যা বোঝায় তা ক্যাথল্যাবে দেওয়া সম্ভব। এখন রংপুরের হৃদরোগীদের আর ঢাকা অথবা দেশের বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। কম খরচে এনজিওগ্রাম, রিং বসানো এবং পেসমেকার স্থাপনের মতো গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসা রমেক হাসপাতালে হচ্ছে। বর্তমানে একটি মাত্র পুরনো এনজিওগ্রাম মেশিন দিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।


এছাড়া প্রতিদিন ক্যাথল্যাব চালু রাখার সক্ষমতা থাকলেও একজন টেকনোলজিস্ট দিয়ে সপ্তাহে মাত্র দুদিন চিকিৎসা কার্যক্রম চালানো হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন ডা. মাহবুবুর রহমান। 

তিনি বলেন, গত দুবছরে রমেকে ৬ শতাধিক এনজিওগ্রাম, রিং স্থাপন ১০০টি, পেসমেকার স্থাপন ৫০টি ও টেমপোরারি (সাময়িক ) পেসমেকার স্থাপন হয়েছে শতাধিক।


তিনি আরও বলেন, রোগীদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করে একটি ডাটা প্রস্তুত করেছেন। তাতে দেখা গেছে, রমেকের হৃদরোগ বিভাগের এই সব চিকিৎসার সফলতা শতকরা ৯৯ দশমিক ২ ভাগ। সম্প্রতি তাঁর বিরুদ্ধে তিন রোগীর অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে ডা. মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রিং পরানো এবং এনজিওগ্রাম খরচ বেসরকারি প্রতিষ্ঠান গুলোর ৩ ভাগের ১ ভাগ হওয়ায় একটি সিন্ডিকেট ও কুচক্রী মহল এ অভিযোগ করিয়েছেন। এই চক্রটি চায় না রংপুরে রোগীরা কম খরচে সেবা পাক।


তিনি আরও বলেন,  হার্টে রিং পরানোর এবং এনজিওগ্রাম করার সময় ক্যামেরায় রেকর্ড করা হয় সেখানে রোগীর স্বজনকে সেটা দেখিয়ে দেওয়া হয় এবং সিডি করে সেই ডিস্ক রোগীকে দেওয়া হয় সেখানে সবকিছু ক্লিয়ার দেয়া রয়েছে। এখানে কোনো কিছু আড়াল করার সুযোগ নেই। 

রমেক হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগের প্রধান অধ্যাপক হরিপদ সরকার বলেন, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা ক্যাথল্যাবে আমরা এরইমধ্যে কাজ শুরু করেছি। ফিলিপস কোম্পানির মাধ্যমে ল্যাবটি সচল করা হয়েছে। রংপুরের হৃদরোগীরা যাতে রংপুরে বসেই এই হাসপাতালে এসব চিকিৎসার সর্বাধিক সুবিধা পান সে লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে।


রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আশিকুর রহমান সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে বলেন, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে কার্ডিওলজি বিভাগের ক্যাথল্যাবে একটি চিকিৎসক টিম খুব দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। গত দুই বছরে রমেকে হৃদরোগীদের হার্টে রিং বসানোর সংখ্যা অনেকটা বেড়েছে। এবং ওই চিকিৎসক অনেক অভিজ্ঞ। তবে  ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে তিনজন অভিযোগ করেছে। 

তিনি বলেন,  অভিযুক্ত চিকিৎসক দোষী হতে পারেন।আবার তাঁর বিরুদ্ধে কোনো সিন্ডিকেট কৌশলে ষড়যন্ত্র করতে পারে। আমরা তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। তদন্ত প্রতিবেদনের পর বিস্তারিত জানতে পারবো।


এমআর

কাউনিয়ায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত

নিজস্ব সংবাদদাতা 

যথাযোগ্য মর্যাদায় রংপুরের কাউনিয়া উপজেলা প্রশাসন আয়োজনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়েছে। 

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলার শহীদবাগ ইউনিয়নে বল্লভবিষু জুড়াবান্দা বধ্যভুমিতে পূষ্পস্তবক অর্পণের মধ্যদিয়ে বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে শহীদ বুদ্ধিজীবী ও মহান মুক্তিযুদ্ধে বীর শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া-মুনাজাত করা হয়। 

পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মহিদুল হকের সভাপতিত্বে শহীদদের স্মরণ সভায় বক্তব্য রাখেন- বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রজব আলী, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম শরিফ, উপজেলা প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান জেমি, উপজেলা কৃষি অফিসার মোছা. তানিয়া আকতার, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মেজবাহুর রহমান, শহীদবাগ ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুর রশিদ মন্ডল, সদস্য সচিব সেকেন্দার আলী বিএসসি প্রমূখ। 

অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা সামসুজ্জামান আজাদ। দিবসের অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, সাংবাদিকসহ নানা শ্রেণীপেশার ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।


এমআর