Saturday, August 17, 2024

কাউনিয়ার এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ


নিজস্ব প্রতিবেদক 
রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার শহীদবাগ ইউনিয়নের খোর্দ্দ ভূতছাড়া গ্রামের সম্পা খাতুন (২৫) নামে এক গৃহবধূকে বেদম মারপিট করে মুখে বিষ ঢেলে দিয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে স্বামীর বাড়ীর লোকজন পালিয়ে যায়। হাসপাতালে পাঁচদিন চিকিৎসাবস্থায় থাকার পর গত শুক্রবার রাতে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে ওই গৃহবধূ।

জানা গেছে, শহীদবাগের খোর্দ্দ ভুতছাড়া গ্রামের হুমায়ুন কবিরের মেয়ে সম্পা খাতুনের সাথে সাতবছর আগে কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলার বিদ্যানন্দ গ্রামের আলেফ উদ্দিনের ছেলে শাহ্ আলমের বিয়ে হয়। তাদের ঘরে সাকিব নামের চারবছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে

নিহত সম্পার ভাই শাহজাহান আলী বলেন, বোনের বিয়ের সময় ভগ্নিপতিকে নগদ এক লক্ষ টাকা যৌতুক দেওয়া হয়। এরপরেও প্রায় সময় তার বোনকে যৌতুকের টাকার জন্য স্বামী, শ্বশুর, শ্বাশুড়ি, ননদ মিলে মারপিট করতো। বিভিন্ন সময়ে ১০-২০ হাজার করে টাকা বোনের স্বামীকে তিনি দিতেন। যখন টাকা পায় তখন সে ভালো ব্যবহার করতো। এভাবেই শারীরিক নির্যাতন সহ্য করে বোনটা সাতবছর ধরে স্বামীর সংসার করে আসছিল।

তিনি বলেন, ঘটনার দিন সোমবার ১৩ আগষ্ট রাতে তার বোনকে পরিবারের লোকজনের সহায়তায় বেদম মারপিট করে মুখে বিষ ঢেলে দিয়ে গোপনে পার্শ্ববর্তী পীরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায়। রোগীর অবস্থা খারাপ দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক রোগীকে  ভর্তি না নিয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দেন। ওই রাতে তারা রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সম্পাকে ভর্তি করে সম্পার বাবার বাড়িতে খবর দিয়ে স্বামীসহ তার বাড়ির লোকজন পালিয়ে যায়। হাসপাতালে পাঁচদিন চিকিৎসাবস্থায় থাকার পর শুক্রবার রাতে মারা যান গৃহবধূ সম্পা খাতুন।

পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে শনিবার (১৭ আগষ্ট) বিকেল চারটার দিকে কাউনিয়ার শহীদবাগ খোর্দ্দ ভূতছাড়া গ্রামে পিতার বাড়িতে সম্পার মরদেহ নিয়ে আসা হয়। রাজারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বিষয়ে একটি মামলা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

এমআর

 

No comments:

Post a Comment