কাউনিয়ায় গম আবাদে বিমূখ কৃষক, প্রণোদনায়ও সুফল মিলছেনা

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

বৈরী আবওহাওয়া, পোঁকার আক্রমনে ফলন কম আর ধানের দাম বেশী হওয়ায় রংপুরের কাউনিয়া উপজেলায় গম আবাদে বিমূখ স্থানীয় কৃষকরা। বর্তমানে আলু, মরিচ, পেয়াজ, ভুট্রাসহ অধিক মূল্যের শষ্য লাভজনক ফসল হওয়ায় উপজেলার সাড়ে ৯ হাজার হেক্টর আবাদি জমির কৃষকরা এখন গম চাষ ছেড়ে দিয়ে ঝুঁকে পড়েছেন অন্য ফসলের দিকে।

উপজেলা কৃষি বিভাগের মতে, সরকারের নানা রকম সুযোগ সুবিধা দিয়েও উপজেলার চাষীদের গম চাষে ফিরিয়ে আনা যাচ্ছে না। চলতি মৌসুমে সাড়ে ৯ হাজার হেক্টর কৃষি জমির মধ্যে গম চাষ করা হয়েছে মাত্র ২’শ ২০ হেক্টর জমিতে। কিছুদিন আগেও যেখানে উপজেলার ২৯টি চরাঞ্চলে ২ হাজার হেক্টর জমিতে গমের আবাদ হতো, সেখানে এখন আর গমের ক্ষেত চোখেই পড়ে না।

কারন হিসেবে চর পল্লীমারী এলাকার গম চাষী আবুল হোসেন জানান, ‘গম আবাদ করলে পড়তা (লাভ) হয় না তাছাড়া আগের ২ বছরে গমের শীষ পচাঁ রোগে হামরা (আমরা) গমের ফলন পাইছি দোনে (২৪ শতক) মাত্র ২ থাকি আড়াই মন। তাই গমের আবাদ ছাড়ী দিছি।’ অপরদিকে পাঞ্জরভাঙ্গা গ্রামের কৃষক আনোয়ার হোসেন জানান, ‘গম আবাদ করিয়া যে লাভ হয় তার চাইতে বেশী লাভ হয় ভুট্রা-আলু আর ধান আবাদে এজন্যে গমের আবাদ বাদ দিছি।’

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল আলম জানান, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ২’শ ৮০ হেক্টর জমিতে গম চাষ হয়েছে। পুরাতন জাতের গম যেমন- বারি ২৫, ২৬ ও ২৭ জাতের গম ক্ষেতে কান্ড পচাঁ রোগ হয়ে থাকে তাই ফলন কম হয় ফলে কৃষকরা এখন ভুট্রা চাষের দিকে ঝুঁকে পড়েছে। তিনি জানান, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ৮০টি গমের প্রদর্শনী করা হয়েছে এবং গম চাষ বাড়ানোর জন্য উপজেলার ৪’শ ৮০ জন চাষীকে কৃষি প্রণোদনা দেয়া হয়েছে। আশাকরি আগামী মৌসুমে গমের চাষ আরো বাড়বে।

-এমআর