কাউনিয়া কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মুসা আহমেদ বরখাস্ত

 

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ
রংপুরের কাউনিয়ায় নিয়োগ পরীক্ষা ছাড়াই অধ্যক্ষ পদে যোগদান করা কাউনিয়া কলেজের আলোচিত অধ্যক্ষ মুসা আহমেদকে চুড়ান্ত বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া তার দায়িত্ব কালে প্রতিষ্ঠানটির আর্থিক খাতে অনিয়ম তদন্তে ০৫ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

জাতীয় পর্যায় শ্রেষ্ঠ ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ উলফৎ আরা বেগম জানান, কাউনিয়া কলেজের অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ পরীক্ষা ছাড়াই অনিয়ম, জালিয়াতি ও প্রতারনার করে ওই কলেজের উপাধ্যক্ষ ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মুসা আহমেদ নিজেকে অধ্যক্ষ ঘোষনা করেন। এ ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদের সদস্য আব্দুল মজিদ লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) রাকিবুজ্জামানকে প্রধান করে ০৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটি ওই কলেজে অধ্যক্ষ নিয়োগে অনিয়ম ও জালিয়াতি এবং প্রতারনার সত্যতা পায়।

তিনি জানান, অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় গত ১৮ নভেম্বর কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভায় মুসা আহমেদকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল। সেই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না মর্মে তাকে শোকজ করা হয়েছিল। গত সপ্তাহে তিনি নিজেকে অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ পেতে অনিয়ম, জালিয়াতি ও প্রতারনা করার কথা স্বীকার করে সভাপতির বরাবরে জবাব দাখিল করেন। অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ পেতে মুসা আহমেদ যেহেতু অনিয়ম ও জালিয়াতি এবং প্রতারনা করছেন। সেহেতু তিনি আগামীতে আরো অনিয়ম ও জালিয়াতিসহ প্রতিষ্ঠানটির বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে।

তিনি আরও জানান, বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে চারটায় কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সকল সদস্যদের উপস্থিতি সভায় সাময়িক বরখাস্ত থাকা মুসা আহমেদকে চুড়ান্ত বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়া মুসা আহমেদ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ ও যোগদান পাওয়ার পর তার পুর্বের উপাধ্যক্ষ পদ রয়েছে কী-না তা জানতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরসহ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের দপ্তরে পাঠানো হবে। তবে পুর্বের পদে পদত্যাগ করার পর অধ্যক্ষ পদে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিয়োগ ও যোগদানের অনুমতি দেয়া হয়। এছাড়া মুসা আহমেদের দায়িত্ব কালে কলেজটির আর্থিক খাতে কোন অনিয়মের তদন্তে ০৫ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।

-এমআর