নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
কাউনিয়া উপজেলার হারাগাছে পাওনা টাকা আদায়ের সালিশ বৈঠকে আঃ হালিম সরকার ( ৫৮) নামে এক মাতব্বরকে গত মঙ্গলবার রাতে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ ওঠেছে প্রতিপক্ষের লোকজনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার বিচার দাবীতে নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী বুধবার (০৬ জানুয়ারি) দুপুরে হারাগাছে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে।
পারিবারিক সূত্রে জানাগেছে, হারাগাছ থানার সীমান্তবর্তী লালমনিরহাটের তিস্তার চর মিলন বাজার এলাকার মজিবরের নিকট তামাক বিক্রির ১৩ লক্ষ টাকা পেতেন হারাগাছ দর্জ্জিপাড়া গ্র্রামের চাঁন মিয়া। প্রায় মাস খানেক আগে এ নিয়ে সালিশ বৈঠক হয়। সেখানে ৫ জানুয়ারি টাকা পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দিয়ে স্টাম্পে লিখিত অঙ্গীকার নামা লিখে দেন মজিবর রহমান।
সে মোতাবেক নির্ধারিত দিন মঙ্গলবার রাত অনুমান ৮টার দিকে টাকা নেওয়ার বৈঠকে চাঁন মিয়া মাতব্বর (বিচারক) হিসেবে আঃ হালিম সরকারসহ আরো ৩/৪ জনকে সাথে নিয়ে টাংরীর বাজারে সালিশ বৈঠকে বসেন। এ সময় প্রতিপক্ষের লোকজনও উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক চলাকালে লিখিত স্টাম্প কেড়ে নেয়াকে কেন্দ্র করে বাকবিতন্ডা হয়। মাতব্বর আঃ হালিম সরকার বৈঠকে উভয়ের কথা শুনে একটি প্রস্তাব পেশ করেন। কিন্তু প্রতিপক্ষের লোকজন সে প্রস্তাব প্রত্যাখান করে তাকে এলোপাতাড়ি বেধড়ক পিটিয়ে গুরুত্বর আহত করে। পরে মূমুর্ষ অবস্থায় হারাগাছ ৩১ শয্যা হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যায় আঃ হালিম সরকার। নিহত আঃ হালিম সরকার হারাগাছ পাইকারটারী গ্রামের মৃত সমছ উদ্দিনের ছেলে এবং মালা বিড়ি ফ্যাক্টরীর মালিক।
নিহতের ছেলে মারুফ ও মোহন জানায়, আমার বাবাকে সালিশ বৈঠকে ডেকে নিয়ে গিয়ে তারা পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করেছে আমরা হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচার দাবী করছি। হারাগাছ মেট্রো থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রেজাউল করিম জানান, রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। ঘটনাস্থল লালমনিরহাটের সীমান্ত এলাকার টাংরীর বাজারে হওয়ায় লালমনিরহাট সদর থানায় মামলা হয়েছে। মামলা নং ০৮ তারিখ ০৬/০১/২০২১।
এ ঘটনায় নিহতের পরিবার আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার ও হত্যা-কান্ডের সুষ্ঠু বিচারের দাবীতে বুধবার সকাল সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত হারগাছ-রংপুর সড়কে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করে। এ সময় বক্তব্য রাখেন নিহতের ছেলে মারুফ হোসেন, সাবেক পৌর কমিশনার মামুদার রহমান, ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতা আবু বক্কর প্রমূখ। মানববন্ধন শেষে হারাগাছ মেট্রো থানায় স্বারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
-এমআর
No comments:
Post a Comment