Sunday, May 9, 2021

কাউনিয়ায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের নিথর কর্মতৎপরতা

 


নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
বৈশ্বিক মহামারী করোনা মোকাবিলায় দেশব্যাপি বিপর্যস্ত হলেও কাউনিয়া উপজেলার জনসাধারনের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের দৃর্শ্যমান কোন ভুমিকা দেখা যাচ্ছে না। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে কর্মকান্ডহীন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ নিজেই এখন অসুস্থ!

উপজেলা সদরে নিজপাড়া গোপালগঞ্জে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অফিসে গিয়ে দেখা গেছে, দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-সহকারী প্রকৌশলী শিউলি রিচিল নেই। নিয়মিত অফিসেও আসেন না তিনি। করোনা কালে জনগনকে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় হাত ধোয়া মাস্ক পরিধান এবং বিশুদ্ধ পানি ব্যবহার স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা ব্যবহারে এই বিভাগের নিথর কর্মতৎপরতা নিয়ে নানা প্রশ্ন জনমনে।

করোনার শুরুতে ইউনিয়ন পরিষদে কিছু সাবান ব্লিচিং পাউডার দিয়েছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ। ৩টি স্থানে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করলেও সে গুলোতে পানি সরবরাহ সাবান আর জোটেনি। উপজেলার তিস্তা নদী বেষ্টিত চারটি ইউনিয়ন রয়েছে। বিগত পরিসংখ্যানে দেখে গেছে অঞ্চলটি আর্সেনিক প্রবণ এলাকা। নদী তীরবর্তী গ্রাম গুলোর চরাঞ্চলে সাধারণ মানুষ আর্সেনিক যুক্ত পানি পানে নানা রোগে ভুগছে।

ঢুষমারা চরের তাজরুল ইসলাম জানান, গত এক বছরে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল দপ্তরের লোক শুধু বন্যার সময় একবার দেখেছি এরপর আর কখনও তাদের দেখা যায়নি। বালাপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আনছার আলী জানান, গত করোনায় তারা ২০টি সাবান কেজি ব্লিচিং পাউডার দিয়েছিল এবার তাদের চেহারা দেখা যায়নি। তবে তারা কয়েকটি টিউবয়েল দিয়েছে বিভিন্ন স্থানে।

উপ-সহকারী প্রকৌশলী শিউলি রিচিল জানান, হাত ধোয়ার স্থান নির্মাণে ইউপি চেয়ারম্যানদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ জনবহুল স্থানের তালিকা নিয়ে উপরে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া ১৫টি বিদ্যালয়ে ওয়াশ ব্লকের কাজ হচ্ছে। স্বীয় বাড়ীতে ছোট শিশু রেখে তিনি ওয়াশ ব্লকের কাজে তদারকি করছেন। উপজেলা মসজিদে ২০টি সাবান দিয়েছি। আমাদের কোন বরাদ্দ নেই। করোনার কারণে ১দিন পরপর অফিস করছি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিনা তারিন জানান, আমি নতুন এসেছি। এখনও তাদের কোন কার্যক্রম আমার নজরে আসেনি। শুনেছি তারা কিছু বিদ্যালয়ে ওয়াশ ব্লকের কাজ করছে। আমি বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখবো, যেন তারা করোনা কালে জনসেবায় কাজ করে।

No comments:

Post a Comment