নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
বৈশ্বিক মহামারী করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে রংপুরের কাউনিয়ায় মানুষের মাঝে নমুনা টেষ্টে অনীহা দেখা গেছে। উপজেলার প্রায় ঘরে ঘরে মওসূমি জ্বর-সর্দির প্রকোপ দেখা গেলেও তারা নিকটস্থ ঔষধালয়ে গোপনে সারছেন স্বীয় চিকিৎসা। তবে করোনা টেষ্টে আগ্রহ হারালেও টিকা নিতে উৎসূক রয়েছে স্থানীয় অনেকেই।
সীমান্তবর্তী জেলা লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রাম ঘেঁষা এ উপজেলায় করোনাক্রান্ত হয়ে নারীসহ ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। সম্প্রতি পার্শবর্তী জেলায় করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় এলাকার মানুষ ব্যাপক ভাবে সংক্রমণ ঝুঁকিতে রয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সুত্রে জানা গেছে, গত মাসের ৯ তারিখে হারাগাছের আমিনুল ইসলাম (৭০) ও ১৯ তারিখে বালাপাড়া হলদীবাড়ীর সুধীর চন্দ্র (৪৫) এবং চলতি মাসের ৭ তারিখে হারাগাছের শেফালি বেগম (৬০) তাদের প্রাপ্ত নমুনা রিপোর্টে করোনা পজেটিভ।
করোনাক্রান্ত আমিনুল ২৫ মে ও শেফালি ১৩ জুন এবং সুধীর ১৯ জুন মৃত্যুবরণ করেন। গত বৃহস্পতিবার অব্দি উপজেলায় করোনা পজেটিভ হিসেবে ১’শ ৪৮ জন শনাক্ত হয়েছে। এদের ১০ জন চিকিৎসাধীন রয়েছে। অন্যরা সুস্থতার ছাড়পত্র পেয়েছেন।
তকিপল হাটে ঔষধ কিনতে এসে স্থানীয় স্কুল শিক্ষার্থীর জনৈক অভিভাবক জানান, ছেলে-মেয়ে দুটো কোচিংয়ে যেতো। ক’দিন ধরে প্রচন্ড সর্দি-জ্বরে ভুগছে। গোপনীয়তা রক্ষার শর্তে ঔষধ বিক্রেতা জানায়, মাস দেড়েক যাবৎ করোনার উপসর্গ নিয়ে অধিক হারে নানা বয়সী নারী-পুরুষ চিকিৎসা নিচ্ছেন। এরা বেশী সংখ্যক শিশু-কিশোর ও বৃদ্ধ। তথ্যে একই অভিব্যক্তি অনেকজন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মীর হোসেন জানান, পাশের জেলায় এখানকার মানুষের অবাদ চলাচলের ফলে ভয়ংকর ও বিপদজনক ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট সংক্রমক ঝুঁকি যথেষ্ট রয়েছে। বিনামূল্যে করোনার নমুনা সংগ্রহ কার্যক্রম চলছে। চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি করোনা সংক্রমণ রোধে জনসচেতনতা বাড়াতে বিভিন্ন কর্মকান্ড অব্যাহত আছে। করোনার প্রাদুর্ভাব রুখতে প্রত্যেকের জীবন জীবিকায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ণ।
-এমআর
No comments:
Post a Comment