নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
কয়েকদিনের টানা ঝিরিঝিরি বৃষ্টি ও উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে বন্যা কবলিত হয়েছে। গত বুধবার সন্ধ্যা থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তিস্তার পানি প্রবল বেগে বৃদ্ধি পেয়ে রেল সেতু পয়েন্টে বিপদ সীমার ছুঁইছুঁই হয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এতে উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নে চর গদাই, চর ঢুষমারা, গোপীডাঙ্গা, পাঞ্জরভাঙ্গা, প‚র্ব
নিজপাড়া, তালুক সাহবাজ, টেপামধুপুর ইউনিয়নে হরিচরণশর্মা, চর গনাই, চর আজম খাঁ, হয়বৎ খাঁ, উত্তর বিশ্বনাথ, হারাগাছ ইউনিয়নে চর নাজিরদহ, পল্লীমারী, শহীদবাগ ইউনিয়নে প্রাননাথ চর, মৌলভীবাজার, বুদ্ধির বাজার এলাকার নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়েছে। পানি বন্দী হয়ে পড়েছে প্রায় ৬ হাজার পরিবার।
এর মধ্যে ঢুষমারার চরে পানি বন্দী প্রায় ৩শ’ পরিবার। এ গ্রামের মানুষ গুলো উচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। গবাদিপশু নিয়ে পড়েছে তারা বিপাকে। তিস্তার পানি বৃদ্ধির সাথে দেখা দিয়েছে নদী ভাঙ্গন। সৃষ্টি হয়েছে গো-খাদ্যের তীব্র সংকট।
কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ৪টি ইউনিয়নে ৩শ’ হেক্টর জমির আগাম পাকা ধান ও আমন ধান ক্ষেত তলিয়ে গেছে। এছাড়াও অন্তত ২০ হেক্টর জমির আলু, ১০ হেক্টর জমির মরিচ, ৭ হেক্টর জমির চিনাবাদাম, ১৩ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন শাক সবজি তলিয়ে গেছে। অপরদিকে উপজেলা মৎস্য বিভাগ জানায়, শতাধিক পুকুরের মাছ ভেসে গেছে।
ঢুষমারা চরের বাসিন্দা কোব্বাত আলী বলেন, সবাই তাদের নিয়ে ভোটের রাজনীতি করেন কিন্তু তাদের দুঃখ দুর্দশার স্থায়ী সমাধানের পথ নিয়ে ভাবেন না। পানিতে ডুবলে সামান্য ত্রাণ নিয়ে আসেন নেতারা, এরপর আর তাদের দেখা মেলেনা। নদী ভাঙ্গন রোধে নেই কোন কার্যকরী পদক্ষেপ।
বালাপাড়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আনছার আলী ও টেপামধুপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম বলেন, প্লাবিত এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের তালিকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে দেওয়া হয়েছে।
নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিনা তারিন জানান, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য আপাতত কিছু ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। চেয়ারম্যানগণের তালিকা অনুযায়ী পরবর্তিতে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
No comments:
Post a Comment