Monday, June 13, 2022

কাউনিয়ায় পাউবো'র উম্মুক্ত জলাশয়ে সম্মিলিত মাছ চাষ

 

নিজস্ব প্রতিবেদক 
রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার শহীদবাগ ইউনিয়নের ভুতছাড়া গ্রামের বুদ্ধির বাজার এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের উম্মুক্ত জলাশয় একক দখলমুক্ত করে এলাকাবাসী সম্মিলিত ভাবে মাছ চাষ শুরু করেছে। নিজের জমি দাবী করে নানা ফুঁসলতে স্থানীয়দের নামে একাধিক মামলায় জড়িয়ে এবং সে মামলায় বিজ্ঞ আদালতকে ভুল তথ্য দিয়ে কৌশলে ২০১৬ সালে এক আদেশ নিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের লিজ বিহীন প্রায় একর ৮০ শতাংশ জলাশয় দীর্ঘদিন ধরে ভোগ-দখলে রাখেন ওই এলাকার মৃত কেরামত আলী আকন্দের ছেলে আমান আলী আকন্দ।

তার
বৈরী আচরন হয়রানি মুলক মিথ্যা মামলায় অতিষ্ঠ হয়েছে ভুক্তভোগী অনেক নারী-পুরুষ। এবারে গত শুক্রবার সকালে এলাকার সম্মিলিত সুফলভোগিরা ১২৪ কেজি পোনা মাছ অবমুক্ত করেছে।

স্থানীয় বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন জানান, জলাশয়ে এলাকার সুফলভোগি ১৮ জন সদস্য মিলে দীর্ঘ পাঁচ বছর মাছ চাষ করা হয়েছে। তিনিও (আমান আলী) আমাদের সাথে ছিলেন। পাউবোর প্রকল্পে এই জলাশয় খননও করা হয়। এরইমধ্যে তিনি আমাদের অজান্তে ৪০ শতাংশ ব্যক্তিগত জমির মামলা করে বিজ্ঞ আদালত থেকে ২০১৬ সালে আদেশজারি নিয়ে একাই পুরো জলাশয় ভোগদখল করছিল। কিন্তু জলাশয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের সরকারি জায়গা।

সবুজ
মিয়া জানান, পুরো জায়গাতো ওনার না তাই সবাই মিলে এবার পোনা মাছ ছাড়া হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড জায়গার লীজ যাকে দিবে সেই পাবে। নবীর হোসেন জানান, সরকারি জায়গা অথচ মানুষের কোন অধিকার দেন না আমান আলী। কোর্টের ইঞ্জেংশন নিয়ে একাই পুরো জমি ভোগদখল করছে।

ভুট্টু
মিয়া জানান, এই মৎস্য খামারের সদস্য হওয়ার কারণে আমান আলীর দেওয়া মামলায় পুলিশ আমাকে ধরে নিয়ে যায়। পরে জামিন নিলেও পাঁচ বছর সেই মামলা খাটছি। পেয়ারা বেগম জানান, আমরা সবাই মিলে মাছ ছাড় ছিলাম। পাঁচ বছর যাবৎ মাছও খাইছি। পরে মামলা জড়িয়ে আমাদের বাদ দিয়ে আমান আলী একাই খাচ্ছে।

স্থানীয়দের
মধ্যে ছামসুল হক, মহসীন আলীসহ অনেকেই এমনকি বোবা জাবেদ আলী তার ইশারা-ইঙ্গিতে এসব ঘটনার একই অভিব্যক্তি।

বিষয়ে আমান আলী জানান, সরকারি জমির সাথে আমার ৪০ শতাংশের মতো জমি আছে। সেই সময় আমার জমি কেটে বাধঁ নির্মাণ করলে জমি সমন্বয় হয়ে যায়। তখন থেকে এখানকার সরকারি জমিসহ মৎস্য খামার করে খাই। কিছুদিন আগে তারা অন্য জায়গার প্রকল্প এখানে এনে কাজ করলে আমি কোর্টের আশ্রয় নেই। তারফলে মামলা নিস্পতি না হওয়া পর্যন্ত কোর্ট আমাকে ভোগ দখলের অর্ডার দিয়েছে।

ব্যাপারে রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান হাবীব মুঠো ফোনে জানান, পাউবোর ওই জলাশয় কাউকেই কোন ইজারা দেওয়া হয় নাই। যারা মাছ চাষ করছেন, তারা সবাই অবৈধ ভাবে মাছ চাষ করছে।

-এমআর

No comments:

Post a Comment