তার বৈরী আচরন ও হয়রানি মুলক মিথ্যা মামলায় অতিষ্ঠ হয়েছে ভুক্তভোগী অনেক নারী-পুরুষ। এবারে গত শুক্রবার সকালে এলাকার সম্মিলিত সুফলভোগিরা ১২৪ কেজি পোনা মাছ অবমুক্ত করেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন জানান, এ জলাশয়ে এলাকার সুফলভোগি ১৮ জন সদস্য মিলে দীর্ঘ পাঁচ বছর মাছ চাষ করা হয়েছে। তিনিও (আমান আলী) আমাদের সাথে ছিলেন। পাউবোর প্রকল্পে এই জলাশয় খননও করা হয়। এরইমধ্যে তিনি আমাদের অজান্তে ৪০ শতাংশ ব্যক্তিগত জমির মামলা করে বিজ্ঞ আদালত থেকে ২০১৬ সালে আদেশজারি নিয়ে একাই পুরো জলাশয় ভোগদখল করছিল। কিন্তু এ জলাশয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের সরকারি জায়গা।
সবুজ মিয়া জানান, পুরো জায়গাতো ওনার না তাই সবাই মিলে এবার পোনা মাছ ছাড়া হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড এ জায়গার লীজ যাকে দিবে সেই পাবে। নবীর হোসেন জানান, সরকারি জায়গা অথচ মানুষের কোন অধিকার দেন না আমান আলী। কোর্টের ইঞ্জেংশন নিয়ে একাই পুরো জমি ভোগদখল করছে।
ভুট্টু মিয়া জানান, এই মৎস্য খামারের সদস্য হওয়ার কারণে আমান আলীর দেওয়া মামলায় পুলিশ আমাকে ধরে নিয়ে যায়। পরে জামিন নিলেও পাঁচ বছর সেই মামলা খাটছি। পেয়ারা বেগম জানান, আমরা সবাই মিলে মাছ ছাড় ছিলাম। পাঁচ বছর যাবৎ মাছও খাইছি। পরে মামলা জড়িয়ে আমাদের বাদ দিয়ে আমান আলী একাই খাচ্ছে।
স্থানীয়দের মধ্যে ছামসুল হক, মহসীন আলীসহ অনেকেই এমনকি বোবা জাবেদ আলী তার ইশারা-ইঙ্গিতে এসব ঘটনার একই অভিব্যক্তি।
এ ব্যাপারে রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান হাবীব মুঠো ফোনে জানান, পাউবোর ওই জলাশয় কাউকেই কোন ইজারা দেওয়া হয় নাই। যারা মাছ চাষ করছেন, তারা সবাই অবৈধ ভাবে মাছ চাষ করছে।
No comments:
Post a Comment