নিজস্ব প্রতিবেদক
কাউনিয়া হাসপাতাল সুত্র জানায়, চোখ ওঠা রোগের ইংরেজি নাম কনজাংটিভাইটিস। এটি ভাইরাস জনিত রোগ। এডিনো ভাইরাস, হারপিস সিমপ্লেক্স ভাইরাসসহ স্কেলেরাল ইনফেকশন, ইউভিয়াল টিস্যু ইনফেকশনই এ রোগের মূল কারণ।
এ ধরনের ইনফেকশন প্রথমে এক চোখে আক্রান্ত করে পরবর্তীতে অন্য চোখ আক্রান্ত হয়। এতে চোখের পাতা ফুলে যায়, চোখ জ্বালা পোড়া করে, চোখ থেকে পানি পড়ে, চোখ থেকে সবুজাভ হলুদ রঙের ময়লা জাতীয় পদার্থ বের হয়। ঘুম থেকে উঠার পর দুই চোখের পাতা লেগে থাকে। এটি ছোঁয়াচে রোগ। পরিবারের এক সদস্যের হলে বাকি সদস্যরাও আক্রান্ত হয়।
পাঞ্জরভাঙ্গা গ্রামের বিফুল চন্দ্র জানান, তার পরিবারে তিন সদস্য এ রোগে আক্রান্ত। প্রথমে একজনের পরে বাকি কয়েকজনের চোখ ওঠে। তিনি জানান, আমাদের এলাকার প্রায় সবার চোখ ওঠেছে।
সরজমিনে নিজপাড়া এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বেশির ভাগ মানুষ কালো চশমা পরে আছেন। কারণ তারা প্রত্যেকেই চোখ ওঠা রোগে আক্রান্ত। এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে খোঁজ নিয়ে জানাগেছে গণহারে কনজাংটিভাইটিস সংক্রমণ ঝুঁকিতে রয়েছে। এরআগে এতো চোখ ওঠা রোগী দেখা যায়নি দাবী স্থানীয়দের।
হাসপাতাল সংশ্লিষ্টরা জানান, চোখ ওঠা রোগের চিকিৎসা নিতে প্রতিদিন হাসপাতালে বিশ থেকে ত্রিশ জন রোগী আসেন। অথচ অসংখ্য রোগী উপজেলা জুঁড়ে। হাসপাতালে চিকিৎসা না নেওয়ার কারণ সম্পর্কে তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, একজন যে ঔষধ খেয়ে ভালো হয়, সেই ঔষধ কিনে অন্যরা সেবন করে। রোগ সেরে যায়। তাই বেশির ভাগ লোক চিকিৎসার জন্য ফার্মেসী নির্ভর। যাদের রোগের উপক্রম বেশি হয় তারাই কেবল হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যান।
কাউনিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মীর হোসেন জানান, চোখ ওঠা ভাইরাস জনিত রোগ। এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নিলে এ রোগ সেরে যায়।
No comments:
Post a Comment