পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশ (IRB) রংপুরের কাউনিয়া ও পীরগাছা উপজেলার ৪টি ইউনিয়নে কোরবানী কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে। রবিবার (৮ জুন) এ কার্যক্রমের ৭০টি গরু কোরবানী দিয়ে ২৪৫০ অতিদরিদ্র পরিবারকে ২ কেজি বা তার বেশি গরুর মাংস দেওয়া হয়েছে।
এবছর কোরবানী কার্যক্রমের আওতায় কাউনিয়া উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নে ১৯টি, টেপামধুপুর ইউনিয়নে ১৬টি এবং পীরগাছা উপজেলার অন্নদানগর ইউনিয়নে ১৯টি ও ইটাকুমারী ইউনিয়নে ১৬টি গরু কোরবানী করা হয়। প্রতিটি গরুর মাংস ৩৫টি পরিবারের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রকল্পের অধীন মোট ২০০০ অধিকারভুক্তের মধ্যে ১৭৯৬ জন এই কার্যক্রমের আওতায় এসেছেন। বাকি ৬৫৪ পরিবারগুলো সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের অতিদরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে থেকে পূর্ববর্তী জরিপের ভিত্তিতে নির্বাচিত হয়েছে।
রংপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. রবিউল ফয়সাল এ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। তিনি বলেন, “কোরবানী শুধু পশু জবাই নয়, এটি আত্মত্যাগ, সহানুভূতি ও মানবিকতার প্রতীক। ইসলাম আমাদের শিখিয়েছে সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষের পাশে দাঁড়াতে। ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশ এই শিক্ষার বাস্তব রূপ দিয়েছে। আমি এই উদ্যোগকে আন্তরিকভাবে সাধুবাদ জানাই।”
কাউনিয়া উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদে গোশত নিতে এসে লাইলী বেগম নিজের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে গিয়ে আঞ্চলিক ভাষায় বলেন, “হামারগুলার স্বাদ আছে বাহে সাধ্য কই! মুই কল্পনাও করো নাই, এবার হামরা কোরবানীর গোশত খাবার পামো। ইসলামিক রিলিফ মেল্যাগুলা করি গোশত দিছে। বাড়িত ছাওয়াগুলার মুখোত এল্যা গরুর মাংস তুলি দিবার পাইম। হামার মতো মাইনষের কথা মনে থোয়ার জন্য ইসলামিক রিলিফকে অন্তর থাকি ধন্যবাদ।”
ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশ এই কার্যক্রমের মাধ্যমে শুধু ঈদের আনন্দই ভাগাভাগি করেনি, বরং সমাজের দরিদ্র শ্রেণির পাশে দাঁড়িয়ে একটি মানবিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। উল্লেখ্য, ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশ প্রতি বছরেই অন্যান্য প্রকল্পের পাশাপাশি মৌসুমি প্রোগ্রাম হিসেবে দেশের বিভিন্ন জেলায় দারিদ্র পীড়িত এলাকায় কোরবানী কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।
এবছর কোরবানী কার্যক্রমের আওতায় কাউনিয়া উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নে ১৯টি, টেপামধুপুর ইউনিয়নে ১৬টি এবং পীরগাছা উপজেলার অন্নদানগর ইউনিয়নে ১৯টি ও ইটাকুমারী ইউনিয়নে ১৬টি গরু কোরবানী করা হয়। প্রতিটি গরুর মাংস ৩৫টি পরিবারের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রকল্পের অধীন মোট ২০০০ অধিকারভুক্তের মধ্যে ১৭৯৬ জন এই কার্যক্রমের আওতায় এসেছেন। বাকি ৬৫৪ পরিবারগুলো সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের অতিদরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে থেকে পূর্ববর্তী জরিপের ভিত্তিতে নির্বাচিত হয়েছে।
রংপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. রবিউল ফয়সাল এ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। তিনি বলেন, “কোরবানী শুধু পশু জবাই নয়, এটি আত্মত্যাগ, সহানুভূতি ও মানবিকতার প্রতীক। ইসলাম আমাদের শিখিয়েছে সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষের পাশে দাঁড়াতে। ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশ এই শিক্ষার বাস্তব রূপ দিয়েছে। আমি এই উদ্যোগকে আন্তরিকভাবে সাধুবাদ জানাই।”
কাউনিয়া উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদে গোশত নিতে এসে লাইলী বেগম নিজের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে গিয়ে আঞ্চলিক ভাষায় বলেন, “হামারগুলার স্বাদ আছে বাহে সাধ্য কই! মুই কল্পনাও করো নাই, এবার হামরা কোরবানীর গোশত খাবার পামো। ইসলামিক রিলিফ মেল্যাগুলা করি গোশত দিছে। বাড়িত ছাওয়াগুলার মুখোত এল্যা গরুর মাংস তুলি দিবার পাইম। হামার মতো মাইনষের কথা মনে থোয়ার জন্য ইসলামিক রিলিফকে অন্তর থাকি ধন্যবাদ।”
ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশ এই কার্যক্রমের মাধ্যমে শুধু ঈদের আনন্দই ভাগাভাগি করেনি, বরং সমাজের দরিদ্র শ্রেণির পাশে দাঁড়িয়ে একটি মানবিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। উল্লেখ্য, ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশ প্রতি বছরেই অন্যান্য প্রকল্পের পাশাপাশি মৌসুমি প্রোগ্রাম হিসেবে দেশের বিভিন্ন জেলায় দারিদ্র পীড়িত এলাকায় কোরবানী কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।
এমআর

No comments:
Post a Comment