Monday, April 13, 2020

কাউনিয়ায় মরিচের মণ ১’শ ২০ টাকা, ক্ষতির মুখে চাষীরা


নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
সম্প্রতি করোনা ভাইরাস বিপর্যয়ে রংপুরের কাউনিয়ায় মরিচের দাম কমে যাওয়ায় মরিচ চাষীদের এখন মাথায় হাত এক মণ মরিচ বিক্রি করছেন ২০ টাকা দরে অথচ কয়েক সপ্তাহ আগেও মরিচের মণ ছিলো থেকে হাজার টাকা তদের দাবী রংপুর অঞ্চলে মরিচ সংরক্ষনের জন্য হিমাগার স্থাপনের

উপজেলার তিস্তা নদী বেষ্টিত ২৯টি গ্রামের চরাঞ্চলে ৎপাদিত মরিচ স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের বাজারে যায় এবারে আবহাওয়া অনুকূল মরিচের বাম্পার ফলন হলেও করোনা দূর্যোগে দাম না থাকায় দিশেহারা হয়ে ক্ষতির মুখে পড়েছে প্রান্তিক মরিচ চাষীরা

উপজেলা কৃষি বিভাগের সূত্রমতে, গত বছরের চেয়ে বছর ৮৫ হেক্টর বেশি জমিতে মরিচের আবাদ হয়েছে চলতি মৌসুমে উপজেলায় মরিচ চাষের ৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ২৫ হেক্টর কিন্তু চাষ হয়েছে ২০ হেক্টর জমিতে গত বছর মরিচের চাষ হয়ে ছিলো ২০ হেক্টর জমিতে

উপজেলার প্রাণনাথ চর এলাকার মরিচ চাষী ওসমান আলী জানান, বছর ভাদ্র-আশ্বিন মাসে তিন একর জমিতে ফরিদপুরী জাতের মরিচ চাষ করেছি প্রয়োজনীয় সার, কীটনাশক পরিচর্যার কারণে ফলনও ভাল হয়েছে কিন্তু বাজারে ক্রেতা না থাকায় বাধ্য হয়ে প্রতি মণ মরিচ ২০ টাকা দরে বিক্রি করতে হচ্ছে একই কথা জানালেন বল্লভবিষু চরের মরিচ চাষী আব্দুল মালেক জগদীশ চন্দ্র

এদিকে স্থানীয়দের দাবী, রংপুর অঞ্চলে মরিচ সংরক্ষনের জন্য সরকারী বা বে-সরকারী ভাবে কোন হিমাগার না থাকায় প্রান্তিক চাষীরা বাধ্য হয়েও কম দামে মরিচ বিক্রি করতে হয়

তকিপল হাটে মরিচ কেনাবেচার সাথে সম্পৃক্ত রবিউল ইসলাম বলেন, ক্ষেত থেকে মরিচ ফরিয়া এবং আড়ৎদারের হাত বদল হয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে যায় সম্প্রতি করোনা প্রতিরোধে প্রশাসনের কঠোর নির্দেশনায় মোকামে স্বল্প সময় দোকানে বেচাকেনা পরিবহন সংকটের ফলে মরিচের চাহিদা কমে গেছে

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল আলম জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং পরিশোধীত বীজ, প্রয়োজনীয় সার-কীটনাশক পাওয়ায় চলতি মৌসুমে মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে

-এমআর

No comments:

Post a Comment