ফের সংঘর্ষের শংকা, কাউনিয়ায় এক আঙ্গিনায় দুই মন্দির

 

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
এক আঙ্গিনায় দুই পূজা, সংঘর্ষের শংকা। রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের বনগ্রাম বড়বাড়ী মন্দিরে আসন্ন দুর্গা পূজাকে কেন্দ্র করে ফের দুই পক্ষের মাঝে যে কোন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বেধে যেতে পারে। একটি পক্ষের সাথে পুলিশের এক কর্মকর্তার বাবা জড়িত থাকায় তারা উপজেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্তকেও বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাচ্ছে।

জানা গেছে, বনগ্রাম বড়বাড়ী মন্দিরে আসন্ন দুর্গা পূজাকে কেন্দ্র করে সমস্যার সমাধান কল্পে উপজেলা প্রশাসনের আহবানে গত ০৮ অক্টোবর নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে বসে দুই পক্ষের ৩ জন করে নিয়ে একটি কমিটি করে ১টি মন্ডপে শান্তিপূর্ন ভাবে সকলে মিলে পূজা উদযাপনের সিদ্ধান্ত দেয়া হয়।

এক পক্ষের সঞ্জয় কুমার, বিষ্ণুপদ রায়, পুলিশ কর্মকর্তার বাবা আশিনাথ বর্ম্মন, অন্য পক্ষের ক্ষুদিরাম বর্মন, রজনীকান্ত ও সুবাস চন্দ্র। এই ৬ সদস্যর সাথে থাকবেন নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ উলফৎ আরা বেগম, থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাসুমুর রহমান, বালাপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আনছার আলী ও প্রত্যাশার আলো পত্রিকার সম্পাদক সারওয়ার আলম মুকুল।

এরপর হঠাৎ করে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে পুলিশ কর্মকর্তার বাবা আশিনাথ বর্ম্মন গ্রুপের লোকজন প্রশাসনকে কিছু না জানিয়ে অন্য সদস্যর পরামর্শ ছাড়াই মন্দিরে মুর্তি নিয়ে এসে রাখে। এতে করে আবারও উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।

তারপর থানা অফিসার ইনচার্জ পুণরায় গত ১০ অক্টোবর রাতে থানায় তার অফিস কক্ষে দুই পক্ষকে নিয়ে বসে রাত ৯টা থেকে ১১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত আলোচনা করে ক্ষুদিরাম পক্ষ মানলেও এএসপি বাবা পক্ষের সঞ্জয় কুমার সিদ্ধান্ত না মেনে তারা চলে যায়।

এলাকাবাসীর সূত্রমতে, বনগ্রাম বড়বাড়ী সার্বজনীন মন্দিরটি প্রায় ২৬ বছর আগে মাধব চন্দ্র বর্ম্মন তার নিজস্ব জমিতে স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের পূজার্চনা করার জন্য গ্রামবাসীর সহযোগিতায় নির্মান করেন। সেই থেকে সরকারী ও বেসরকারী ভাবে নানা সহযোগিতায় উক্ত মন্দিরে পূজার্চনা হয়ে আসছিলো।

এরই এক পর্যায়ে কমিটি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মন্দিরে তৈরী হয় দুইটি পক্ষ। তৈরী হয় এক আঙ্গিনায় আরও একটি মন্দির। পুলিশ কর্মকর্তার বাবা আশিনাথ বর্ম্মন গ্রুপ পুরাতন মন্দিরের মূল ফটক ইটের প্রাচীর দিয়ে বন্ধ করে দেয়।

এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রাকিবুজ্জামান জানান, আমরা আবারও উভয় পক্ষের সাথে বসে সমাধানের চেষ্টা করছি, ব্যর্থ হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

-এমআর