নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
জলাশয় সংস্কারের মাধ্যমে মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্প (২য় সংশোধিত) জলাশয় পুনঃখনন কার্যক্রমের আওতায় রংপুর জেলা মৎস্য দপ্তরের বাস্তবায়নে ৪ লাখ টাকা ব্যয়ে কাউনিয়া ভুমি অফিসের পুকুর খননের ১ মাস না পেরুতেই ৫ স্থানে পাড় ভেঙ্গে পুকুর ভরাট হচ্ছে।
পরিকল্পনা ও প্রাক্কলন অনুযায়ী খনন এবং সংস্কার না হওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতেই পাড়ের ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। এতে সরকারের যেমন অর্থের অপচয় হচ্ছে অন্যদিকে মৎস্য চাষ ব্যাহত হবে। এছাড়াও ভূমি অফিসের দেয়াল ভেঙ্গে পড়াসহ পুকুর পাড়ে কয়েকটি নিরীহ পরিবারের বসতঃবাড়ি ক্ষতির মুখে পড়েছে।
জানাগেছে, রংপুর জেলা মৎস্য অফিসের বাস্তবায়নে উপজেলা মৎস্য অফিসের তদারকিতে জলাশয় সংস্কারের মাধ্যমে মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্প (২য় পর্যায়) জলাশয় পুনঃখননের আওতায় সহকারি কমিশনার (ভূমি) অফিসের ০.২৭৮ হেক্টর পুকুর ৪ লাখ ২’শ ২০ টাকা ব্যয়ে খনন ও সংস্কার কাজের প্রকল্প সম্পন্ন হয়।
এ ব্যাপারে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা মুঠোফোনে জানান, আমরা কর্তৃপক্ষকে বলেছি ড্রেনসহ পুকুরে পানি প্রবাহ বন্ধ না করলে এ ধরনের অবস্থা হবে। কর্তৃপক্ষকে সঠিক ভাবে পুকুর খনন কাজ ও পাড় বাঁধাই বুঝিয়ে দিয়েছি।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফারজানা আক্তার জানান, প্রকল্পটি রংপুর জেলা মৎস্য বিভাগ বাস্তবায়ন করেছে। আমরা শুধু দেখভাল করেছি। পুকুরের পাড় ভেঙ্গে মাটি আবারো পুকুরে যাওয়ার বিষয়টি জেলা স্যারকে জানিয়েছি।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বরুণ চন্দ্র বিশ্বাস জানান, পুকুরের পাড় ভাঙ্গার বিষয়টি অবগত হয়েছি। পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিনা তারিন জানান, ভুমি অফিসের পুকুর পাড় ভাঙ্গার খবর পেয়েছি। মৎস্য কর্মকর্তাকে বলেছি ব্যবস্থা নিতে।
তবে সাধারণ মানুষ বলছে সরকারি অর্থ এভাবেই জলে যাচ্ছে দেখার কেউ নেই!
-এমআর
No comments:
Post a Comment