নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
অল্প
খরচ আর অধিক ফলন এবং বেশী লাভ হওয়ায় রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার তিস্তা নদী বেষ্টিত চরাঞ্চলের
গ্রাম গুলোতে বাদাম চাষে আগ্রহ বেড়েছে। ভাগ্য বদলে স্বপ্ন বুঁনছে বাদাম চাষীরা। চলতি
মৌসুমে গতবারের তুলনায় প্রায় ১’শ হেক্টর বেশী জমিতে বাদাম চাষ হয়েছে। বাম্পার ফলন ও
দাম ভালো পেয়ে বাদাম চাষীদের মুখে হাসি ফুঁটেছে।
উপজেলার
চর বিশ্বনাথ, আজম খাঁ, চর গনাই, গদাই, চর ঢুষমাড়া, গোপিডাঙ্গা, আরাজি হরিশ্বর, চর নাজিরদহ,
প্রাণনাথ চর, চর চতুরা, ধুমগাড়াসহ ২৯টি চরের দিগন্ত মাঠ জুঁড়ে অন্য ফসলের পাশাপাশি
ব্যাপক ভাবে উচ্চ ফলনশীল বারী বাদাম-৮ ও ৯ ছাড়াও স্থানীয় জাতের বাদাম চাষাবাদ হয়েছে।
গোপিডাঙ্গা
গ্রামের মফিজ উদ্দিন জানান, দেড় একর জমিতে বাদাম রোপন করেছি। অন্য আবাদের তুলনায় বাদামে
খরচ কম। ফলনও বেশ হয়েছে। ভালো দাম পেয়েছি। এবারেও বাদাম বিক্রি করে লাভের মুখ দেখেছি।
চর
নাজিরদহের মোফাজ্জল হোসেন জানান, পাঁচ বিঘা জমিতে বাদাম চাষে খরচ হয়েছে ৩০ হাজার টাকার
মতো। বাদাম পেয়েছি প্রায় ৪০ মন। বর্তমানে প্রতিমন বাদাম ২ হাজার ৪’শ থেকে ৬’শ টাকা
দরে বিক্রি হচ্ছে।
তবে
কৃষকরা সহজ শর্তে কৃষি ঋণ, চাষাবাদে প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষন, উন্নত মানের বীজ ও আধুনিক
কৃষি যন্ত্রপাতি সরবরাহ, সংরক্ষণাগার ও বিপনন ব্যবস্থা চালু না থাকায় কাঙ্খিত লাভ থেকে
বঞ্চিত হচ্ছেন দাবী চাষীদের।
উপজেলা
কৃষি কর্মকর্তা শাহনাজ পারভীন জানান, এ বছর রবিশস্যে ৭’শ ৩৭ হেক্টর ও খরিপে ৮’শ ১৫
হেক্টর জমিতে বাদাম চাষ হয়েছে। বাদাম চাষে উৎসাহিত করতে ১০ বিঘা জমিতে ১০টি প্রদর্শনী
প্লট করা হয়। এতে বীজ, সারসহ আন্তঃ পরিচর্যায় মোবাইলে ১ হাজার ৫’শ টাকা করে দেয়া হয়েছে।
এবারে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে হেক্টর প্রতি ২.৮ মেঃটঃ।
তিনি
জানান, চরাঞ্চলের পলিযুক্ত উর্ব্বর জমিতে আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় বাদামের ফলন ভালো হয়েছে।
কৃষকদের মাঝে প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ এবং সেবা-সহায়তা প্রদানে কৃষি বিভাগ কাজ করছে।
-এমআর
No comments:
Post a Comment