নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
রংপুরের কাউনিয়ায় কোরবানির ঈদকে ঘিরে লাভের আশা দেখলেও সম্প্রতি মহাদূর্যোগ করোনার কঠোর লকডাউনে উপজেলা প্রশাসনের তৎপরতায় পশুর হাট বন্ধ হওয়ায় ক্ষতির মুখে মাথায় হাত পড়েছে গরু খামারী ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের।
শনিবার
(১০ জুন) টেপামধুপুর পশুর হাটে গরু-ছাগল নিয়ে খামারী ও ব্যবসায়ীরা ভিড়লেও এসিল্যান্ড মেহেদী হাসান সঙ্গীয় পুলিশ-আর্মির আকস্মিক উপস্থিতিতে জমেনি পশুর হাট। এর আগে হারাগাছ খানসামার জমজমাট পশুর হাট পন্ড করে দেয়া হয়।
এতে চরম ভোগান্তিতে পড়ে আগন্তক গো-হাটি। ঈদের আগে পশুর হাট খুলবে কী-না এ নিয়ে খামারী ও ক্ষুদ্র গরু ব্যবসায়ীরা শঙ্কায় পড়েছেন। তাছাড়া অনলাইন পশুর হাটেও তেমন সাড়া মিলছে না। ঈদে পশু কোরবানি ও জীবন-জীবিকা বিবেচনায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে পশুর হাট বসার দাবী স্থানীয়দের।
ক্রেতা সংকটে উত্তরের সেরা ৪০ মন ওজনের ষাঁড় বাহাদুরসহ খামারের গরু নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার কথা জানান কুর্শা ইউনিয়নে শিবু এলাকার খামারী নজরুল ইসলাম। খামারীরা জানায়, কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে এবারও গরু-ছাগল প্রস্তুত করেছেন তারা। অন্যদিকে করোনার কঠোর বিধিনিষেধে গতবারের মত ফের আশায় গুড়োবালি বলছেন ক্ষতিগ্রস্ত গরু ব্যবসায়ীগণ।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মনোজিৎ কুমার সরকার বলেন, লকডাউনে উপজেলার গরু খামারীরা চরম বিপাকে পড়েছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অনলাইনে কোরবানির হাট নামে একটি পেজ খোলা আছে। এ পেজে খামারীরা গরু-ছাগলের ছবি ও দাম লিখে দিয়ে তাদের পশু বেচাকেনা করতে পাবেন।
ইউএনও তহমিনা তারিন জানান, ইজারাদারগণকে সতর্ক করা হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে বিধিনিষেধ অমান্য করে পশুর হাট বসানো হলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
-এমআর
No comments:
Post a Comment