Tuesday, July 13, 2021

কাউনিয়ায় কর্তাদের বাগিয়ে প্রধানমন্ত্রীর উপহার ঘর পেলেও বন্ধ হলো নির্মাণ

 


নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
রংপুরের কাউনিয়ায় মুজিব জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হতদরিদ্রের স্বপ্নের উপহার আশ্রয়ন প্রকল্পের ২টি ঘর স্বাবলম্বী একখানা পরিবারকে দেওয়ার অভিযোগ ওঠায় নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়েছে। পরে নির্মাণাধীন ঘরটির বরাদ্ধ বাতিল করেন সংশ্লিষ্টরা।

তথ্য
গোপন রেখে প্রধানমন্ত্রীর সর্ববৃহৎ মানবিক প্রকল্পের ২টি ঘর পেয়েছে কর্তৃপক্ষ বললেও স্থানীয়রা বলছে কর্তাদের বাগিয়ে অনৈতিক সুবিধা নিয়েছে। ঘটনায় এলাকাবাসী করছে নানা গুঞ্জন।

উপজেলা
সদরের আরাজী খোর্দ্দ ভুতছাড়া গ্রামের জহুরুল ইসলামের ছেলে এসিল্যান্ডের গাড়ি চালক নজরুল ইসলাম ২য় ধাপে তার মা গোলেজা বেগমের নামে দুই কক্ষ বিশিষ্ট সেমি পাকা ঘর বরাদ্ধ পায়। এর আগে তৎকালীন কর্তাদের তবিয়তে স্বীয় নামে একটি টিনসেড ঘর পেয়েছেন তিনি।

একই
ভাবে এসিল্যান্ড অফিসের বদৌলতে অধনস্ত কর্তৃক টাকা সল্পতার অজুহাতে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী সরবরাহ ছাড়াও পরিবহন ভাড়া আদায় এমনকি নকশা বদলীয়ে বরাদ্ধের টাকায় নিজের ঘর তৈরীর মত ঘটনাও ঘটেছে ইতোমধ্যে।

গত
রোরবার দুপুরে সরেজমিনে দেখা গেছে, পরিবারটির টিনে ঘেরা কয়েকটি ঘরের প্রশস্ত বাড়ির সারিতে আশ্রয়ন প্রকল্পের টিনসেড ঘরের পাশে নির্মিত হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর আবেগ জড়িত ভুমিহীন-গৃহহীনের স্বপ্নের এই ঘর। সেখানেই নজরুল ইসলাম জানান, মায়ের তো জমি নাই তাই মায়ের নামে বরাদ্ধ পেয়েছি। আগেরটা আমার নামে। ইউএনও স্যার দেখে গেছেন।

গোপনীয়তা রক্ষার শর্তে জনৈক বলেন, আশ্রয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকারি ব্যক্তিরাও নিজেদেরকে অনিয়ম-দুর্নীতির উর্ধ্বে রাখতে পারেননি। ফলে বসতবাড়ি মিলে অন্তত এক একর জমির সম্পদশালী একখানা ওই পরিবার পেয়েছে হতদরিদ্রের ঘর। একেই বলে সরকারি মাল দরিয়া মে ঢাল। কে শুনে কার কথা। তাহলে এ দায় কার!

পিআইও
আহসান হাবীব সরকার জানান, উপজেলা প্রশাসনকে ঘর নির্মাণে সহায়তা করা হয়। ঘর বরাদ্ধের এখতিয়ার আমাদের নেই। ইউএনও তাহমিনা তারিন বলেন, আগে ঘর পাওয়ার তথ্য গোপন রেখে ঘরের বরাদ্ধ নেওয়া হয়। জানতে পেরে নির্মাণাধীন ঘরটির বরাদ্ধ বাতিল করা হয়েছে।

উল্লেখ্য
, মুজিব বর্ষে কাউনিয়া উপজেলায় ১ম ধাপে ২০টি এবং দ্বিতীয়তে টি ভুমিহীন গৃহহীন পরিবারের মাঝে জমিসহ ঘর প্রদান করা হয়।

-এমআর

No comments:

Post a Comment