নিজস্ব প্রতিবেদক
জবানবন্দিতে জানা যায়, সানজিদা হত্যাকান্ডে অংশ নেয় কথিত তিন প্রেমিক। সানজিদার উচ্ছৃঙ্খল জীবন ও বহুভুজ প্রেমের কারণে তারা পূর্বপরিকল্পিত ভাবেই সানজিদাকে হত্যা করে। এ হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটনে সানজিদার ব্যাগে পাওয়া একটি খাতা ও সোর্সের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ গ্রেফতার করে রংপুর মেট্রোপলিটন মাহিগঞ্জ থানার তালুক উপাশু গ্রামের নূর হোসেন মিলিটারির ছেলে কথিত প্রেমিক নাহিদুল ইসলাম সায়েম (১৯) কে। সে গতবছর ক্যান্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেছে।
পুলিশ ও আদালত সূত্র জানায়, সায়েমের সাথে তিন বছর আগে সানজিদার পরিচয় ও সম্পর্ক হয়। কিছুদিন আগে তাদের সম্পর্ক ভেঙ্গে গেলেও যোগাযোগ অব্যাহত থাকে। ঘটনার দিন ১৬ আগস্ট বিকেলে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী সায়েম সানজিদাকে নিয়ে রংপুরে শাপলা সিনেমা হলে সিনেমা দেখতে যায়। সেখানে সানজিদার নতুন প্রেম নিয়ে তর্ক লাগলে সানজিদা সেখান থেকে চলে যায়।
পরে সায়েম তার পূর্ব পরিচিত আরও দুইজনের সাহায্যে কৌশলে সানজিদাকে মাহিগঞ্জে রেখে সেখানে আবার মিলিত হয়। তারপর তারা পীরগাছা আলীবাবা থিম পার্কে ঘুরতে যায়, কিন্তু রাত হয়ে যাওয়ায় সানজিদা ফিরে আসার জন্য চাপ দেয়। এরপর কুটিরপাড়-টেপামধুপুর রোডের একটি ফাকা জায়গায় সানজিদার একাধিক প্রেম নিয়ে কথা তোলে এবং তারা তিনজন মিলে উপুর্যুপরি ছুরিকাঘাতে হত্যা করে। এরপর তারা সেখান থেকে সটকে পড়ে।
রংপুর জেলার সহকারি পুলিশ সুপার (সি সার্কেল) আশরাফুল আলম পলাশ জানান, সায়েম এই হত্যার সাথে সম্পৃক্ততা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছে। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আরও একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে রক্তাক্ত অবস্থায় কুর্শা ইউনিয়নের শিবু কুটিরপাড় হতে টেপামধুপুর যাওয়া রাস্তার পাশে অজ্ঞাত ওই কিশোরীকে রক্তাক্তবস্থায় দেখতে পায় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে কাউনিয়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত সানজিদা আক্তার ইভা (১৬) কাউনিয়া উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের গড়াই গ্রামের ইব্রাহিম খানের মেয়ে এবং পীরগাছার বড়দরগা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী।
-এমআর
No comments:
Post a Comment