রুহি আক্তারের মা জয়গুন জানান, তার একমাত্র মেয়ে চলতি বছর স্থানীয় রাসুলপুর মাদ্রাসা থেকে দাখিল পরীক্ষা দিতো। সাত মাস আগে মেয়েকে ফুঁসলিয়ে পালিয়ে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করে পারভেজ। প্রায় চার মাস আগে তারা বাড়ীতে আসে। এরমধ্যে মেয়ের সাথে আমাদের দেখা সাক্ষাত করতে দেওয়া হয়নি। গত শুক্রবার মেয়ে মোবাইলে কান্না করে আমাকে জানায় তোমরা আমাদের বিয়ে বিদায়ের ব্যবস্থা কর। এরা আমাকে সবসময় খোটা দেয়। আমি আর সহ্য করতে পারছিনা এই বলে মোবাইল কেটে দেয়। এরপর আর কথা হয় নাই মেয়ের সাথে। আমার মেয়ে আত্মহত্যা করতে পারে না।
রুহি আক্তারের পিতা ইউনুছ আলী অভিযোগ করে বলেন, মেয়ে প্রেম করে বিয়ে করলেও পারিবারিক ভাবে আমরা মেনে নিয়েছি। পারভেজ (জামাই) ও তার পিতা (বেয়াই) সাথে কথা বলেছি জানুয়ারিতে পারিবারিক ভাবে অনুষ্ঠান করবো। এরমধ্যে জামাই যৌতুক হিসেবে ২ লাখ টাকা দাবি করেন। কিন্তু অভিভাবক ছাড়া আমি টাকা দিতে অস্বীকার করি। এতে জামাই ও তার মা আমার মেয়েকে প্রায় মানসিকভাবে নির্যাতন করতো। আমার মেয়ে মানসিক নির্যাতন সহ্য করতে পারছিল না। দুইদিন আগেও মেয়ের সাথে মোবাইলে কথা হয়। তিনি বলেন, আমার মেয়ে আত্মহত্যা করতে পারে না তাকে হত্যা করা হয়েছে।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে নিহত রুহি আক্তারের স্বামী পারভেজ আলম বলেন, সোমবার সকাল ৯টায় তিনি দোকানে যান এবং তার পিতা মাতা কাজে বাহিরে যায়। বেলা ১১টায় বাড়িতে কেউ না থাকায় তার স্ত্রী ঘরে আত্মহত্যা করেন। তার স্ত্রী গত কয়েকদিন ধরে কি যেন ভাবছিল এবং হতাশার লক্ষ্য দেখা যায়। তবে কি কারণে তার স্ত্রী আত্মহত্যা করতে পারে সেটা তিনি বলতে পারেন নাই।
কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোন্তাছের বিল্লাহ বলেন, খবর পেয়ে সোমবার রাত ৮টার দিকে পারভেজ আলমের বাড়ি থেকে ওই গৃহবধূঁর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (০৬ ডিসেম্বর) ময়নাতদন্তের জন্য লাশ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় সোমবার রাতেই একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে মৃত্যুর রহস্য জানা যাবে। পাওয়ার পর পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এমআর
No comments:
Post a Comment