কাউনিয়ায় সমালয় পদ্ধতিতে বোরো ধান রোপন

নিজস্ব প্রতিবেদক 

কৃষিকে আধুনিকায়নের মাধ্যমে উন্নত ফসল ব্যবস্থাপনায় গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। দেশের বিভিন্ন স্থানে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে সমালয়ে চাষাবাদ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। উৎপাদন খরচ কমানো, কর্তনোত্তর অপচয় রোধ, কায়িক শ্রম লাঘব, শ্রমিকের অভাব পূরণ ও ফসলের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করতেই এই কর্মসূচী হাতে নেওয়া হয়েছে। এ কার্যক্রমের আওতায় ব্রি ধান ৭৪ রোপনের জন্য ট্রে-তে বীজতলা তৈরি, রাইস ট্রান্সপ্লান্টারে চারা রোপন ও কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিনে ধান কর্তন পর্যন্ত সহায়তা দিবে কৃষি বিভাগ।

এ লক্ষ্যে রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার শিবু চওড়াপাড়া গ্রামে অর্ধশত কৃষকের ৫০ একর জমির বোরো ধান সমালয় পদ্ধতিতে চাষাবাদ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। এতে ধানের ট্রে-তে বীজতলা তৈরি, রাইস ট্রান্সপ্লান্টারে চারা রোপন ও কম্বাইন্ড হারভেস্টারের মাধ্যমে ধান কর্তন পর্যন্ত সহায়তা দিবে কৃষি বিভাগ।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শাহানাজ পারভিন সাথী জানান, চলতি মৌসুমে কাউনিয়ায় প্রায় ৭ হাজার ৫শ ৫০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। বোরো ধানের বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন এখানকার কৃষকরা। কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের মাধ্যমে সমালয় পদ্ধতিতে চাষাবাদের জন্য বীজতলা তৈরিতে ২ হাজার ২শ প্লাস্টিক ট্রে ব্যবহার করা হয়েছে ।

তিনি জানান, এখানে বীজতলা তৈরিতে ২ সেন্টিমিটার জৈব সার মিশ্রিত মাটি ভরাট করে কাঠ দিয়ে ভালভাবে সমতল করে মাটিতে স্থাপন করা হয়েছে। প্রতিটি ট্রেতে ১২০ থেকে ১৫০ গ্রাম অঙ্কুরিত বীজ বপন করে দশমিক ৫ সেন্টিমিটার মাটি দিয়ে বীজ ঢেকে দেয়া হয়েছে। এছাড়া শৈত্যপ্রবাহের হাত থেকে রক্ষা করতে স্বচ্ছ সাদা পলিথিন দিয়ে বীজতলা ঢাকা হয়েছে।

এ কর্মসূচীতে সরকারি প্রণোদনায় বীজ রোপন থেকে ঘরে তোলা পর্যন্ত যাবতীয় খরচ বহন করা হবে। শিবু চওড়াপাড়া কৃষক সমিতির সভাপতি রমজান আলী জানান, এই ধরনের সমালয় পদ্ধতির মডেল অনুসরণ করে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ এবং সকল প্রযুক্তির সঙ্গে কৃষকের সেতুবন্ধন তৈরিতে কাজ করছে উপজেলা কৃষি বিভাগ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর অতিরিক্ত পরিচালকের কার্যালয়ের এগ্রিকালচার ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল আজিজ সরকার, কূর্শা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল মজিদ, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কল্লোল কিশোর সরকার, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন, কৃষক আশরাফুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান, মিজানুর রহমান প্রমুখ।

এমআর