নিজস্ব প্রতিবেদক
জানা গেছে, হারাগাছ ইউনিয়নের বকুলতলা বাজার এলাকার আব্দুর রশিদসহ কতিপয় ব্যক্তি একতা সেতুর কিছু দুরে মরা তিস্তা নদীতে ২টি ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে। আর উত্তোলন করা বালু বিক্রি করে লাভবান হলেও এলাকার ফসলি জমি হুমকির মুখে পড়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে নাজিরদহ গ্ৰামের কয়েকজন কৃষক বলেন, বালু দস্যুরা এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ তাদের বাধা দেয়ার সাহস পায় না। এরা ড্রেজার মেশিন বসিয়ে নদীর গভীর থেকে বালু উত্তোলন করছে। এতে গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় নদীর তীরবর্তী আবাদি জমি ভাঙনের মুখে পড়েছে। প্রায় দুই মাস আগে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করে দিয়েছিল পুলিশ। কিন্তু প্রশাসন ও পুলিশের নির্দেশ অমান্য করে শনিবার সকাল থেকে আবারও বালু উত্তোলন শুরু করেছে।
ভুক্তভোগীরা জানান, ড্রেজিং পদ্ধতিতে বালু উত্তোলন করা হলে ভরা বর্ষায় তাদের ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হবে। জানা যায়, ২০১০ সালে বালু উত্তোলন নীতিমালায় যন্ত্র চালিত মেশিন দ্বারা ড্রেজিং পদ্ধতিতে নদীর তলদেশ থেকে বালু উত্তোলন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়াও সেতু, কালভার্ট, রেললাইনসহ মূল্যবান স্থাপনার এক কিলোমিটারের মধ্যে বালু উত্তোলন করা বেআইনি।
অথচ বালু দস্যুরা সরকারি ওই আইন অমান্য করে মরা তিস্তা নদী থেকে শ্যালো ড্রেজার মেশিন দিয়ে দেদারসে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে। এ বিষয়ে বালু উত্তোলনকারী আব্দুর রশিদ বলেন, আমরা কয়েকজন শ্যালো ড্রেজার দিয়ে বালু তোলা শুরু করেছিলাম উত্তোলন করা বালু দিয়ে ঠিকাদাররা সরকারি কাজ করেন। তবে বালু উত্তোলনে প্রশাসনের কোন অনুমতি নেই।
হারাগাছ ইউনিয়ন উপ-সহকারী (ভূমি) কর্মকর্তা রোকসানা পারভীন বলেন, স্থানীয় আব্দুর রশিদ প্রায় ২ মাস আগে নদীতে শ্যালোর ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করছিল। পরে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। সে আবারও শনিবার থেকে বালু উত্তোলন করছে। সহকারী কমিশনার স্যারের নির্দেশে রবিবার সকালে ঘটনাস্থলে লোক পাঠিয়ে বালু উত্তোলন না করার জন্য বলা হয়েছে।
No comments:
Post a Comment