Saturday, June 8, 2024

কাউনিয়ায় চাহিদার চেয়ে বেশি পশু প্রস্তুত-জমে উঠেছে হাট


নিজস্ব প্রতিবেদক 
আসন্ন ঈদুল আযহাকে ঘিরে কাউনিয়ায় জমে ওঠেছে কোরবানির সকল পশুরহাট। উপজেলায় প্রস্তুত রয়েছে ২৫ হাজার ৪২৯টি গবাদি পশু। কোরবানির ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে পশুর হাটে ক্রেতা-বিক্রেতার ভীড় ততো বাড়ছে। পশুরহাটে নানা অব্যবস্থাপনা অতিরিক্ত ঢোল আদায়ের অভিযোগ করেন অনেক ক্রেতা-বিক্রেতা।

একটি সূত্রে জানাগেছে প্রতি বছর কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে উপজেলার খামারি কৃষকরা গরু, ছাগল ভেড়া মোটা তাজাকরণে ব্যস্ত থাকেন। তাই বছরও কোরবানিকে সামনে রেখে দেশি গরু ছাগল মোটাতাজা করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।

একাধিক খামারি প্রান্তিক কৃষকদের সাথে কথা বললে তারা জানান, গো-খাদ্যের দাম ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পাওয়ার পরেও কোরবানির পশুর দাম ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে আছে। বছর মাঝারি ছোট গরুর চাহিদ বেশি। ভারতীয় গরু কম আসায় বেশ লাভবান হবেন বলে আশা করছেন তারা।

শুক্রবার শনিবার উপজেলার টেপামধুপুর খানসামা হাটে সরেজমিনে গিয়ে দেখাগেছে, ভোর থেকে বিভিন্ন এলাকা থেকে পশু নিয়ে হাটে আসতে শুরু করেছেন পাইকারি বিক্রেতা, খামারি গবাদিপশু পালনকারী প্রান্তিক কৃষকগণ। দেশি উন্নত জাতের গরুতে বাজার ভরে গেছে। বিক্রেতারা বড় গরুর দাম হাঁকছেন ৮০ হাজার থেকে লাখ টাকা পর্যন্ত।

ছাড়া ৯০ থেকে ১০০ কেজি ওজনের গরুর দাম ৭৫ থেকে ৮৫ হাজার টাকা চাওয়া হচ্ছে। কোরবানির সাত ভাগিয়ার একক ক্রেতাসহ উপজেলার বাইরে থেকে বিশেষ করে ফেনী, নোয়াখালী, চট্রগ্রাম থেকে বেশ কিছু পাইকার এসেছেন পশু কিনতে। প্রখর রোদ বৃষ্টিতে হাটে পশু বেচাকেনা হচ্ছে। ক্রেতা-বিক্রেতার উপস্থিতিতে জমে উঠেছে কোরবানির হাট।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সুমী বেগম বলেন, কাউনিয়ায় বছর কোরবানির জন্য গবাদিপশুর চাহিদা রয়েছে ১৬ হাজার ৯০১টি। এর বিপরীতে কোরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে ২৫ হাজার ৪২৯টি। এরমধ্যে ষাঁড় ৬৫০১, বলদ ১৯৮৬, গাভী ২০৪১, মহিষ ১০৬, ছাগল ১৩৯৪৫ ভেড়া, ৮৪২ এবং অন্যান্য ৮টি। উদ্বৃত্ত পশুর সংখ্যা হাজার ৫২৮টি।

তিনি বলেন, কোরবানীর পশুর ৬টি হাটে মেডিকেল টিম কাজ করছে। মেডিকেল টিম অসুস্থ পশু চিহ্নিত, বাজারে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়া পশুকে প্রাথমিক চিকিৎসা, গর্ভ পরীক্ষা, লিফলেট বিতরণসহ গবাদি পশু ক্রেতা-বিক্রেতাদের নানা পরামর্শ সহযোগিতা প্রদান করছেন। আশা করছি খামারীরা তাদের পশুর ভালো দাম পাবেন।

এমআর

 

No comments:

Post a Comment