নিজস্ব প্রতিবেদক
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) শিক্ষার্থী মো. মোছাব্বির তারফদারের পাশে দাঁড়িয়েছে জিন্নাহ্-চম্পা ফাউন্ডেশন। শুক্রবার (০৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধায় কাউনিয়া থানা রোডে জামতলাস্থ জিন্নাহ্-চম্পা ফাউন্ডেশন কার্যালয়ে মোছাব্বিরকে নগদ পাঁচ হাজার টাকা আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করেন ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান পিন্টু। এছাড়াও তার পড়াশোনা সচল রাখতে প্রতিমাসে দুই হাজার টাকা সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দেওয়া হয়। এসময় মোছাব্বিরের মা মোছা. ছালমা বেগম উপস্থিত ছিলেন।
রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের নিজপাড়া গ্রামের মো. শফিকুল ইসলামের ছেলে মোছাব্বির। তিনি ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে কুয়েটের ইন্ডাস্ট্রিয়াল
এন্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ভর্তি হয়েছেন। তার বাবা পেশায় একজন নির্মাণ শ্রমিক। মোছাব্বির দুই ভাইবোনের মধ্যে বড়। তিনি ২০১৯ সালে এসএসসি পরীক্ষায় কাউনিয়া মোফাজ্জল হোসেন সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছেন এবং ২০২১ সালের এইচএসসিতে কাউনিয়া কলেজ থেকে জিপিএ-৫ অর্জন করেন। মেধাবী ও কৃতি শিক্ষার্থী মোছাব্বিরের বাবা একজন নির্মাণ শ্রমিক হওয়ায় অর্থাভাবে কুয়েটে পড়াশোনা চালিয়ে নেওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
মাহমুদুল হাসান পিন্টু বলেন, ‘কিছু স্বপ্নবাজ মেধাবী লুকিয়ে থাকে। মেধাবী মোছাব্বির আলোকিত কাউনিয়ার আলোকিত মুখ, চান্স পেয়েছে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে।
এ মেধাবী সন্তানের গর্বিত পিতা একজন নির্মাণ শ্রমিক জানতে পেয়ে মানবতার জন্য জিন্নাহ্-চম্পা ফাউন্ডেশনের পক্ষথেকে মেধাবী মোছাব্বিরের পাশে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়। আসুন মোছাব্বিরের পাশে থাকি।’
কুয়েট শিক্ষার্থী মোছাব্বির তারফদার বলেন, ‘বাবা সামান্য নির্মাণ শ্রমিক ছোটবেলা থেকে দারিদ্র্যতার সাথে যুদ্ধ করে পড়ালেখা চালিয়ে আসছি। অনেক মহৎ মানুষের সহযোগিতায় আমার এপর্যন্ত আশা। সবার দোয়ায় কুয়েটে ভর্তির সুযোগ পেয়েছি। কিন্তু এতে পড়াশোনা খুব ব্যয়বহুল হওয়ায় সাময়িক আর্থিক সংকটে পড়েছি। জিন্নাহ্-চম্পা ফাউন্ডেশন সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। আমি খুব আনন্দিত ও গর্বিত। ইনশাআল্লাহ্ ভবিষ্যতে উপার্জনক্ষম হলে আমিও মানুষের পাশে দাঁড়াবো।’
-এমআর
No comments:
Post a Comment