নিজস্ব প্রতিবেদক
এ কেন্দ্রে ব্যবহারিক পরীক্ষায় প্রতি বিষয়ে পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ২শ থেকে ৫শ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হয়েছে। আদায়কৃত এ টাকার জন্য কোন রশিদ দেওয়া হয়নি। এতে ক্ষুব্ধ পরীক্ষার্থীসহ অভিভাবকরা বিদ্যালয়ের সভাপতি বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এ ঘটনায় সমালোচনার ঝড় বইছে পরীক্ষার্থীসহ অভিভাবক মহলে।
পরীক্ষার্থীরা জানান, ব্যবহারিক পরীক্ষা শুরুর আগেই কাউনিয়া দ্বি-মুখী বালিকা উচ্চ বিদ্যলয়ের প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিব তোজাম্মেল হোসেন তাদের কাছ থেকে ৮শ থেকে ১ হাজার টাকা করে আদায় করেছেন। উক্ত টাকা না দিলে তিনি ব্যবহারিক পরীক্ষার নম্বর কম দিবেন। একই অভিব্যক্তি এ কেন্দ্রের ব্যবহারিক পরীক্ষায় অংশ নেওয়া সকল পরীক্ষার্থী।
রোববার
(২৩ অক্টোবর) দুপুরে এ ব্যাপারে জানতে
চাইলে কেন্দ্র সচিব ও প্রধান শিক্ষক তোজাম্মেল হোসেন সাংবাদিকদের সাথে পরে কথা হবে বলে এড়িয়ে যান। তবে ব্যবহারিক পরীক্ষায় টাকা নেওয়া সংক্রান্ত লিখিত অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সরদার আব্দুল হাকিম জানান, ব্যবহারিক পরীক্ষায় টাকা নেওয়ার বিষয়ে প্রতি বছরেই তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠে।
এরআগে তাকে অনেক সতর্ক করা হয়েছে, কিন্তু তিনি তা তোয়াক্কা না করে এবারো পরীক্ষার্থীদের
কাছে টাকা নেওয়া অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানটির সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে। তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এএসএম আরিফ মাহফুজ জানান, ব্যবহারিক পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে কোন প্রকার টাকা আদায়ের সুযোগ নেই। অভিভাবকদের লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে কেন্দ্র সচিব ও প্রধান শিক্ষক তোজাম্মল হোসেনসহ জড়িত শিক্ষকদের বিচার দাবী করেছেন স্থানীয়রা।
-এমআর
No comments:
Post a Comment