নিজস্ব প্রতিবেদক
নিহতের স্বজনরা জানায়, বেশ কিছুদিন ধরে সামিউল ইসলাম একটি স্মার্টফোন কিনে দেওয়ার জন্য পরিবারকে চাপ দিয়ে আসছিল। কিন্তু দরিদ্র পরিবার তার চাহিদা পূরণে সামর্থ্য না হওয়ায় তাকে অপেক্ষা করতে বলে। শনিবার রাতে আবারও জিহাদ মায়ের কাছে মোবাইল কিনে দেওয়ার দাবি করলে তার মা তাকে কয়েকদিন পর এনজিও থেকে ঋণ তুলে মোবাইল কিনে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
কিন্তু মায়ের কথায় বিশ্বাস না করে জিহাদ শনিবার মধ্যরাতে গলায় লুঙ্গি পেঁচিয়ে নিজ ঘরের ধর্নার সাথে ফাঁস দেয়। পরদিন রোববার ভোরে পরিবারের সদস্যরা তাকে ডাকাডাকি করে সারা শব্দ না পেয়ে ঘরের ভিতরে ঢুকে জিহাদকে ধর্নায় ঝুলন্ত দেখতে পায়। সকালে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ সুরাতহাল প্রতিবেদন করে।
স্থানীয়রা বলছেন, ইদানীং দেখা যাচ্ছে শিশু ও কিশোররা মোবাইলে গেম খেলায় আসক্ত হয়ে পড়ছে। স্মার্টফোন না পেয়ে অভিমানে ছেলেটি প্রাণটাই দিল!
No comments:
Post a Comment