নিজস্ব প্রতিবেদক
পুর্বনাজিরদহ গ্রামের বাসিন্দা আইয়ুব আলী ও রুমেল মিয়া জানান, গত সপ্তাহে টানা কয়েকদিন রাতভর বৃষ্টির ফলে এবং উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সাঁকোটি ভেঙে যায়। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন এলাকাবাসী। বিশেষ করে স্কুলপড়ুয়া শিক্ষার্থী এবং কর্মজীবী লোকজন স্কুলে ও কর্মস্থলে যেতে পারছেন না।
তারা বলেন, প্রায় কুড়ি বছর আগে দুইপাড়ের মানুষ নৌকায় পারাপার করতো। লোকজনের চলাচল বেড়ে যাওয়ায় তৎকালীন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বাঁশের সাঁকোটি তৈরী করে দেয়। সাঁকোটি ঝুঁকিপুর্ন হয়ে পড়লে তিস্তার শাখা মানাস নদীতে একটি স্বল্প প্রস্থের সেতু নির্মাণের দাবী এলাকাবাসীর।
এ অবস্থায় গতবছর উপজেলা পরিষদ থেকে ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকোটির পাশেই একটি কাঠের সাঁকো নির্মাণ করা হয়। কিন্তু কাঠের সাঁকোটির দুইপাড়ে প্রায় ৬০ ফুট নির্মাণ কাজ অসমাপ্ত রয়েছে। অদ্যবধি তা নির্মাণ করা হয়নি। সাঁকোটি নদীর মাঝখানে পড়ে থাকার ফলে পারাপারে কোন কাজে আসছে না। আমরা নতুন সাঁকোটির অসমাপ্ত কাজ দ্রুত নির্মাণ করার দাবি জানাই।
গত রোববার বিকেলে গিয়ে দেখা গেছে, তিস্তার শাখা মানাস নদীতে নরবরে বাঁশের সাঁকোটি ভেঙে পানিতে পড়ে আছে। বিকল্প পথ না থাকায় লোকজন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন।
পুর্বনাজিরদহ গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল মমিন বলেন, নদীর উত্তর পাড়ে প্রায় তিন শতাধিক পরিবার বসবাস করে। এক সপ্তাহ ধরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষ ভেঙে পড়া সাঁকোর পাশ দিয়ে পারপার করছে। সংস্কারের উদ্যোগতো দুরের কথা, এখন পর্যন্ত কেউ খোঁজও নিতে আসে নাই!
কৃষক আজিজ বলেন, স্থানীয় কৃষকের জমি রয়েছে উভয় পাশে। সাঁকোটি ভেঙ্গে যাওয়ায় ফসল আনতে নদী পার হতে কষ্ট করতে হয়। প্রায় পাঁচ কিলোমিটার পথ ঘুরে লোকজন উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন স্থানে চলাচল করতে হচ্ছে।
নদীর উত্তর প্রান্তের বাসিন্দা হামিদা বেগম বলেন, বাঁশের সাঁকোটি নরবরে হওয়ায় তাদের শিশুরা স্কুলে যেতে ভয় পেতো। সাঁকোটি ভেঙ্গে যাওয়ায় শিশুরা স্কুলে যেতে পারছে না।
এদিকে হারাগাছ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাজু আহমেদ বলেন, বাঁশের সাঁকোটি বেশ কয়েকবার সংস্কার করা হয়েছিল। সাঁকোটি ভেঙ্গে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন এলাকাবাসী। ভেঙ্গে পড়া সাঁকোটির পাশে নির্মিত কাঠের সাঁকোটির অসমাপ্ত কাজ শেষ করার জন্য উপজেলা প্রকৌশলীকে বার বার তাগিদ দেওয়া হয়েছিল।
No comments:
Post a Comment