Tuesday, August 27, 2024

কাউনিয়ায় ব্রণকাইটিসে আক্রান্ত মেয়েকে বাঁচাতে বাবার আকুতি

নিজস্ব প্রতিবেদক 
রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের দিনমজুর এনামুল হকের দুই মেয়ের মধ্যে বড় এলিনা আক্তার ঐশী। সে স্থানীয় রাসূলপুর মোজাহারীয়া দাখিল মাদরাসার দশম শ্রেণির ছাত্রী। পাঁচ সদস্যদের পরিবারের অভাব অনটনের মাঝেও সুখেই চলছিল তাদের সংসার। কিন্তু তিনবছর আগে হঠাৎ ঐশীর ফুসফুসে ব্রণকাইটিস রোগ বাসাবাধাঁয় সুখের সংসারে দুঃখের আগুন জ্বলে ওঠে। মেয়ের এই মরণব্যাধির চিকিৎসা নিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছেন বাবা।

ঐশীর
বাবা এনামুল হক বলেন, কোনো টাকা পয়সা হাতে নেই। পর্যন্ত মেয়ের চিকিৎসা করতে শেষ সম্বল জমি-জিরাত বিক্রির টাকাও শেষ হয়েছে। ডাক্তার বলেছেন দেশের বাহিরে চিকিৎসা নিতে। এতে আরও প্রায় ১০ লক্ষ টাকার প্রয়োজন।


তিনি বলেন, ঐশীর চিকিৎসা তো দূরে থাক, সংসার চালানোই এখন আর সম্ভব হচ্ছে না। মেয়ের শারীরিক অবস্থাও ভালো না। সে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহযোগি অধ্যাপক ডাক্তার আবুল কালাম আজাদের তত্বাবধানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। গরীব এই বাবার আকুতি মেয়েকে বাঁচাতে প্রয়োজন সবার আর্থিক সহযোগিতা।

স্বজনরা জানান, ঐশীর চিকিৎসার জন্য তার বাবা পর্যন্ত ২টি ট্রাক্টর (কাকড়া গাড়ী বসতবাড়ির ৩০ শতক জমি বিক্রি করেছেন। এখন তারা অন্যের জমিতে ঘরবাড়ি করে আছেন। ঐশীর বাবা অন্যের ট্রাক্টর গাড়ী চালিয়ে কোন রকমে জীবিকা নির্বাহ করছেন। এই ব্যয়বহুল চিকিৎসার পেছনে যাবৎ তার পরিবার বিভিন্নভাবে ১০-১২ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। ঐশীর চিকিৎসা করতে হলে কমপক্ষে আরও ১০ লাখ টাকা দরকার যা তার পরিবারের পক্ষে জোগাড় করা অসম্ভব।

স্থানীয়রা জানান, এলিনা আক্তার ঐশীর চিকিৎসায় আত্মীয়স্বজনসহ অনেকেই হাত বাড়িয়েছেন। মেয়ের দুরারোগ্য এই রোগের চিকিৎসা করতে গিয়ে এনামূল হক তার পরিবার এখন নিঃস্ব। সবার সাহায্য সহায়তায় একটি নিঃস্ব পরিবারের মাঝে আবার আশার আলো সঞ্চালিত হতে পারে। মা-বাবা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে পাবেন তাদের প্রিয় আদরের মেয়েকে।

তাই প্রয়োজন সমাজের বিত্তবান দয়াবান সবার আর্থিক সহযোগিতা। চিকিৎসা সহায়তা যোগাযোগ করতে- ঐশীর বাবা এনামুল হক ০১৭৬৫০৪৪৬৮৪ (বিকাশ)

এমআর 



No comments:

Post a Comment