মিজানুর রহমান
রংপুরের কাউনিয়ায় শীতের আগমনে লেপ-তোষক তৈরীতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কারিগররা। তিস্তানদী বেষ্টিত চরাঞ্চলসহ গ্রামীন জনপদে বিরাজ করছে শীতের হিমহিম আমেজ। দিনের বেলা খানিকটা তাপমাত্রা বাড়লেও সন্ধ্যা গড়লে কুয়াশায় ঢেকে যাচ্ছে এখানকার জনপদ। রাত গভীর হওয়ার সাথে বাড়ে ঠান্ডার প্রকোপ এতে ফ্যানের কদর কমে বাড়তে শুরু করেছে কাঁথা-কম্বল ও চাদরের।
ফলে বেরিয়ে পড়ছে তুলে রাখা কাঁথা-কম্বল, সুয়েটার, মাফলার, লেপসহ শীত নিবারনের নানা বস্ত্র। সেই সাথে মানুষ ভীড় জমাচ্ছেন কারিগরদের দোকানে লেপ-তোষক তৈরী করে নিতে। গ্রাহকের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় লেপ-তোষক তৈরীতে ব্যস্ত সময় পার করছেন এখানকার কারিগররা।
কাউনিয়া বাসস্টান্ডের টেপামধুপুর রোডে রউফ বেডিং ষ্টোরের মালিক আব্দুর রউফ জানান, এবার শুরুতেই শীতের তীব্রতা দেখা যাচ্ছে সেই আশঙ্কায় লেপ-তোষক তৈরীতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে কারিগররা। এখানে প্রতিটি লেপ বিভিন্ন রকম তুলার ভেদে ১৫০০ থেকে ৩০০০ টাকায় তোষক ১০০০ থেকে ২০০০ টাকা এবং জাজিম ৫০০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। কাপড় ব্যবসায়ি মতিয়ার রহমান, রাম চন্দ্র, মজনু মিয়া বলেন, উপজেলায় শীতের আগমন ঘটায় মানুষ আগাম লেপ-তোষক তৈরীতে ঝুঁকে পড়েছেন। তাই বর্তমানে লেপ-তোষকের কাপড় ও তুলার ক্রেতা বেড়েছে।
কারিগর হামিদুল ইসলাম, নুরুজ্জামান মিয়া, জহুরুল ইসলাম, আফসার আলী জানায়, প্রতিদিন গড়ে ৫টি থেকে ৭টি লেপ-তোষক তৈরী করে ১০০০ থেকে ১২০০ টাকার মতো রোজকার করতে পারেন। তকিপল হাটের তুলা ব্যবসায়ী মহুবর রহমান বলেন, কার্পাস তুলার কেজি ২০০ থেকে ৩০০ টাকা, শিমুল তুলা ৪০০ টাকা এবং গার্মেন্টস তুলা ৪০ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি করা হয়।
লেপ-তোষক তৈরীর কাজে ব্যস্ত কারিগর হামিদুল ইসলাম জানান, বর্তমানে দেশী তুলা বিশেষ করে শিমুল ও কার্পাস তুলার উৎপাদন কম আর দাম বেশী হওয়ার ফলে বেশীরভাগই গার্মেন্টেসের তুলা দিয়ে লেপ-তোষক তৈরী হচ্ছে। বৎসরের এই সময়টার উপার্জন দিয়ে বাকী সময় পারি দেওয়ার জন্য দিন-রাত একাকার কাজ করে যাচ্ছেন স্থানীয় কারিগররা।
এমআর
No comments:
Post a Comment