'এলা কনকনে ঠান্ডা কামকাজ অল্প হয় রুজি-রোজগার কমি গেইছে। হামরা গরীব মানুষ দিনে আনি দিনে খাই, বাজারোত চাউলের দর বেশী হইছে, শেখের বেটি হামার গুলার ভিতি ভাবিয়া ৩০ টাকা কেজিত চাউল বেচার জন্যে একনা সুবিধা হচলো। কেম্বা কয়টিপ থাকিয়া চাউল নাল রংয়ের মতো চাউল ভাল নোয়ায় বাহে, ভাত সাটায়। ঠেকাত পড়িয়া অগইত্যা এইল্যা চাউলের ভাত খাওয়ায় নাগে।'
মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) আঞ্চলিক বচনে মলিন মুখে কথাগুলো বলেন কাউনিয়ার তকিপল হাটের ওএমএস চাল বিক্রয় কেন্দ্রে আগন্তক প্রায় শতবর্ষি বৃদ্ধ উপজেলার সাব্দি এলাকার মোন্নাফ আলী। একই অভিযোগের অভিব্যক্তি চাল ক্রেতা সবাই।
সরজমিনে দেখা গেছে, তকিপল হাট ওএমএস চাল বিক্রয় কেন্দ্রে দুর্গন্ধযুক্ত বিবর্ণ রংঙ্গের ফেকাসে লালচে চাল বিক্রয় করা হচ্ছে। এব্যাপারে জানতে চাইলে ওএমএস ডিলার ফারুক সরকার জানান, এলএসডি গোডাউন থেকে যে চাল আমাকে দিয়েছিল তাই বিতরণ করেছি আমি চাল বিতরণে কোন প্রকার অনিয়ম করিনি।
অফিসে না পেয়ে ওসিএলএসডি বিলকিছ বেগমের সাথে দুপুরে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমি জামালপুর গেছিলাম এখন যমুনা সেতুর উপরে আছি যতরাত হোক অফিসে গিয়ে আপনাদের সাথে কথা বলবো। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সোহেল আহমেদ জানান, ওএমএস কেন্দ্রে এধরনের চাল বিক্রির সুযোগ নাই। বিষয়টি আমলে নিয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে নিম্নমানের চাল পেয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন উপকার ভোগিগণ। সচেতন মহল বলছেন এ যেনো মরার উপর খরার ঘাঁ। উল্লেখ্য, উপজেলায় পাঁচটি ওএমএস কেন্দ্রে ডিলারদের মাধ্যমে প্রতি কার্য দিবসে এক মেট্রিক টন করে চাল প্রতি কেজি ৩০ টাকা দামে বিক্রয় কার্যক্রম চলছে।
এমআর
No comments:
Post a Comment