Wednesday, February 7, 2024

কাউনিয়ায় আমন ধান সংগ্রহ শুন্য, চাল সংগ্রহে ধীরগতি


নিজস্ব প্রতিবেদক 
রংপুরের কাউনিয়ায় সরকারি খাদ্য গুদামে আমন ধান সংগ্রহ শুন্য, চাল সংগ্রহে ধীরগতি বিরাজ করছে। গুদামে ধান নিতে অতিরিক্ত বহন খরচ, ধান শুকানো ও পরিষ্কার করা, গুদাম কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় বিল উত্তোলনে নানা ঝামেলায় এ হাল সৃষ্টি হয়েছে বলেছেন অনেকে। সরকারি ভাবে সংগ্রহ অভিযান আরম্ভ হওয়ার প্রায় দুইমাস পার হলেও এ পর্যন্ত একটু ধানও সংগ্রহ হয়নি।

তবে সোমবার (০৫ ফেব্রুয়ারী) পর্যন্ত চাল সংগ্রহ হয়েছে ৭৭০.৬১০ মেট্রিক টন। চলতি আমন ধান-চাল সংগ্রহ মৌসুমে কাউনিয়া খাদ্য গুদামে সরকারি ভাবে চাল সংগ্রহের বরাদ্দ রয়েছে ১১৩২ মেট্রিক টন। এছাড়া ধানের বরাদ্দ রয়েছে ৪০২ মেট্রিক টন।

উপজেলা খাদ্য বিভাগ সূত্র জানায়, উপজেলায় ৯২টি মিলারের মধ্যে চাল প্রদানে চুক্তিবদ্ধ মিলার সংখ্যা ৩৮টি। এদিকে গত একসপ্তাহ ধরে উপজেলার হাটবাজার গুলোতে চালের দাম বেড়েই চলেছে। নিজপাড়া গ্রামের কৃষক প্রহলাদ চন্দ্র জানান, স্থানীয় বাজারে প্রতি মন ধান বিক্রি করেছেন ১১৮০ টাকায়। বাজারে ঝামেলা নাই, নগদ টাকা পাই পাইকারকে ধান দিয়ে আসি। তিনি বলেন, বর্তমানে ১১৬০ থেকে ১১৮০ টাকা মন ধান বিক্রি হয়। গত একসপ্তাহ ধরে বাজারে ধানের দাম একটু চড়া।

রাজিব গ্রামের কৃষক সোহরাব হোসেন বলেন, এ মৌসুমে ১০৯০ টাকা মন দরে ধান বিক্রি করেছেন। ধান ব্যবসায়ী দুলু বলেন, মৌসুমের শুরুর দিকে প্রতি মন ধান ৯৮০ টাকা থেকে ১০২০ টাকা পর্যন্ত ধান কিনেছেন। এখন ১২৫০ টাকা থেকে ১২৭০ টাকায় কিনছেন।

মিল-চাতাল মালিক সমিতির সভাপতি মিনহাজুর রহমান হেনা জানান, বাজারে ধানের দাম বেশী কিন্তু লাইসেন্স ঠিক রাখতে লস করে গুদামে চাল দিচ্ছেন। উপজেলার হাট বাজার গুলো ঘুরে জানাগেছে, বড়বড় অটো রাইস মিল মালিকরা মাঠ পর্যায়ে পাইকার দিয়ে কমিশন ভিত্তিতে ধান সংগ্রহ করে তাদের মিলে মুজুদ করছেন। এই সিন্ডিকেটের কারণে বাজারে ধানের দাম বেড়ে যাওয়ায় সরকারি গুদামে ধান ও চাল নিতে হিমশীম খেতে হচ্ছে সংশ্লিষ্টদের।

উপজেলা কৃষি বিভাগ জানায়, চলতি মৌসুমে আমন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রার বেশী উৎপাদন হয়েছে। কৃষি অফিসার শাহানাজ পারভীন সাথী জানান, ধানের বাজার মূল্য আর সরকারি মূল্য প্রায় সমান ও গুদামে কিছুটা হয়রানির কারণে কৃষকরা খাদ্য গুদামে ধান দিতে আগ্রহী হয় না।

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সোহেল আহমেদ জানান, সংগ্রহ অভিযান ফেব্রুয়ারীর ২৮ তারিখ পর্যন্ত চলবে। বাজার দর বেশি হলেও চাল সংগ্রহ অভিযান সফল হবে। গত বোরো মৌসুমে সংগ্রহ অভিযান সফল হয়েছে।

এমআর

No comments:

Post a Comment