নিজস্ব প্রতিবেদক
স্থানীয়রা জানায়, প্রায় ৩ বছর আগে বন্যায় পাকা সড়কের এই স্থানটিতে পানির তোরে ভেঙ্গে যায়। ওই সময় বালাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় রাস্তার নিচে সিমেন্টের পাইপ দিয়ে সড়কটি সংস্কার ও মেরামত করে যোগাযোগ স্বাভাবিক করেন। এরপর গত বন্যায় রাস্তাটি আবারও ভেঙ্গে চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে স্থানীয়রা বাঁশের সাঁকো তৈরী করে কোনমতে চলাচল করছেন।
তারা বলেন, উপজেলা প্রশাসন থেকে বন্যার পরপরই বলা হয়েছিল এখানে একটি পাকা সেতু নির্মাণ করা হবে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে আজও সেতু নির্মাণ করা হয়নি। ফলে চরাঞ্চলের গ্রামগুলোর মানুষ তাদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য তকিপল হাটে নিয়ে যেতে চরম বিড়ম্বনায় পরতে হচ্ছে।
স্থানীয় বাহাদুর জানান, পাকা সড়কে পাকা সেতু না থাকায় বাঁশের সাঁকোতে প্রায় দুর্ঘটনা ঘটছে। এ এলাকায় স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও স্থানীয় লোকজনের যাতায়াতের জন্য বর্তমানে বাশেঁর সাকোঁই ভরসা।
তিনি
বলেন, এই রাস্তা দিয়ে লালমনিরহাট সদর উপজেলার রাজপুর থেকে শুরু করে ৬টি গ্রামের মানুষ যাতায়ত করেন। বাঁশের সাঁকো দিয়ে রিক্সা ভ্যান চলাচল করলেও ভারি যানাবাহন চলাচল করতে পাচ্ছে না। ফলে কৃষক তাদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন না। অতিগুরুত্বপূর্ণ সড়কটি সংস্কার কাজ বা পাকা সেতু নির্মাণ না করায় এটি যেন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য হাফিজার রহমান জানান, প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে কয়েক হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। সড়কটি ভেঙ্গে যাওয়ার পর থেকে শিক্ষার্থীসহ লোকজন যাতায়াতের জন্য বাশেঁর সাকোঁই ব্যবহার করছেন। পাকা সেতু নির্মাণের আশ্বাস ইউএনও সাহেব দিলেও এখনও কাজ শুরু হয়নি।
বালাপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আনছার আলী জানান, এলাকার বামনডাঙ্গা দোলার প্রায় ১০০ একর জমির পানি বের হওয়ার জন্য সেতু নির্মাণ খুবই জরুরী। অতিগুরুত্বপূর্ণ
রাস্তাটিতে পাকা সেতু নির্মাণের জন্য মাসিক সমন্বয় মিটিংয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছি। আশাবাদী খুব দ্রুত সেতু নির্মাণ করা হবে।
No comments:
Post a Comment