Sunday, October 6, 2024

কাউনিয়ায় ৭২ পূজামন্ডপে দূর্গোৎসব : আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় চারস্তরে নিরাপত্তা


নিজস্ব প্রতিবেদক 
সমস্ত বিপদ-আপদ দূর্গতীনাশ করেন যিনি তিনিই দূর্গতিনাশিনী, তিনি হলেন দেবীদূর্গা। প্রতিবছর একবার শরতের শুরুতেই ব্যাপক আনুষ্ঠানিকতার মধ্যদিয়ে ধরণীতে তার আগমন ঘটে। সেই বিশ্বাস চিত্তে হিন্দুধর্মালম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গাপূজা। রংপুরের কাউনিয়ায় পূজামন্ডপ গুলোতে ব্যস্ততার সাথে চলছে প্রতিমা মন্দির সাজসজ্জার শেষ মূহুর্তের কাজ।

এবছর উপজেলার ইউনিয়নে ৭২টি পুজামন্ডপে সাড়ম্বরে অনুষ্ঠিত হবে শারদীয় দূর্গাপূজা। প্রতিটি মন্ডপেই খড়-কাদা-মাটি মিলে রংতুলির আচোঁরে নিপূন হাতে তৈরী প্রতিমা মন্দির সাজানোর কাজে পুরোদমে তাদের ব্যস্ত সময় পার করছেন। এসব প্রতিমা তৈরীর কাজে ন্যস্ত রয়েছে স্থানীয়রা ছাড়াও রংপুরসহ লালমনিরহাট কুড়িগ্রাম জেলা থেকে নিয়ে আসা কারিগররা।

প্রতিমা তৈরীর কারিগর বলাই চন্দ্র জানান, প্রতিমা তৈরীর কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। বিভিন্ন নকশা কারুকাজের মাধ্যমে প্রতিমা বানাতে সময় লাগে একমাস থেকে দেড়মাস পর্যন্ত। শেষ মূহুর্তে তাই দ্রুততার সাথে চলছে দিন-রাত পরিশ্রম।

মূলতঃদৃর্শ্যমান আনুষ্ঠানিকতায় বুধবার (০৯ অক্টোবরতিথিলগ্নে দেবীদূর্গার দোলায় (পালকি) চড়ে আগমন তথা মহাশুভষষ্ঠী পূজার মধ্যদিয়ে দূর্গতিনাশিনী দেবীদূর্গার সূচনা ঘটবে। রোববার (১৩ অক্টোবর) মহাদশমীতে দেবীদূর্গার ঘোটকে (ঘোড়া) চড়ে গমন বা বিসর্জনে শারদীয় দূর্গোৎসবের সমাপ্তি হবে।

এবারে পূজামন্ডপে কোন ব্যতিক্রম আয়োজন না থাকলেও প্রতিমা দর্শন, পূজা-অর্চণা, নিত্য সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান রয়েছে। সবার সহযোগিতায় সমগ্র উৎসবটি সফল করতে ইতোমধ্যে সকল মন্দিরের প্রস্তুতি সম্পূর্ণ হয়েছে বলেছেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ কাউনিয়া উপজেলার সাধারণ সম্পাদক কমল সরকার টিপু।

হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের কাউনিয়া উপজেলা সভাপতি পরেশ চক্রবর্তী বলেন, ভ্রাতৃপ্রতীম সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মাঝে প্রশাসনসহ সর্বস্তরের নের্তৃবৃন্দ এলাকাবাসীর সহযোগিতায় বিগত বছরের ন্যায় এবারো দূর্গাপূজা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পালন হবে।

এদিকে শারদীয় দূর্গাপূজাকে ঘিরে কঠোর অবস্থানে থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম শরীফ জানান, উপজেলার ৭২ পুজামন্ডপের মধ্যে ৩২টি সাধারণ, ২০টি গুরুত্বপূর্ণ ১৬টি অধিকগুরুত্বপূর্ণ এবং ৪টি রংপুর মেট্রোপলিটনস্থ হারাগাছ থানার অর্ন্তভূক্ত পুজামন্ডপ হিসেবে চিহ্নিত করে চারস্তরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

মন্দির কমিটির নিজস্ব সেচ্ছাসেবীসহ মন্দির প্রাঙ্গণে সিসি ক্যামেরা অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র স্থাপন করতে বলা হয়েছে। নির্বিঘ্নে দূর্গাপূজা উদযাপনে অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি এড়াতে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকবে থানাপুলিশ, আনসার ভিডিপিসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এছাড়া যে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার উদ্ভব হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানানোর পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

এমআর


 

 

 

No comments:

Post a Comment