Sunday, March 10, 2024

কাউনিয়ায় প্রকৌশলীসহ শ্রমিককে মারধর, গ্রেফতার ৩


নিজস্ব প্রতিবেদক 
রংপুরের কাউনিয়ায় এলজিইডির একজন প্রকৌশলী শ্রমিকদের মারধর, সরকারি কাজে বাধা প্রদান এবং প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগে কাউনিয়া থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জাকা উল্লাহ এন্ড ব্রাদার্স লিমিটেডের ম্যানেজার মো. বাদশা আলম বাদী হয়ে গত মার্চ রাতে ১০ জন অজ্ঞাতনামা ৩০-৪০ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানাগেছে, রংপুরের কাউনিয়া থানাধীন কুর্শা পশ্চিম বাহাগীলি মৌজাস্থ আমতলা বাজার সংলগ্ন প্রায় তিনমাস পূর্বে ব্রীজ নির্মাণের কাজ পায় জাকা উল্লাহ এন্ড ব্রাদার্স লিমিটেড। নির্মাণ কাজ শুরু করার পর কাজ বন্ধ করার জন্য উঠেপরে লেগেছে একটি চক্রমহল। গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাত অনুমান ০৮টার সময় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ২০-৩০ জন ব্যক্তি দলবদ্ধ হয়ে হাতে লাঠিশোঠা, লোহার রড নিয়ে এসে ব্রীজের কাজ বন্ধ করার জন্য শ্রমিকদের বিভিন্ন ভয়ভীতি হুমকি প্রদান করে।

লোকজন দেখে সহকারি ইঞ্জিনিয়ার মো. ফিরোজ মিয়া এগিয়ে এলে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে তাকে এলোপাতাড়ী মারপিট করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছিলাফুলা জখম করে। দেখে ব্রীজ নির্মাণ কাজের শ্রমিকগণসহ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার মো. বাদশা আলম এগিয়ে আসলে এদেরকেও মারপিট শুরু করে। সময় তাদের তান্ডবে অনেক শ্রমিক প্রাণ ভয়ে পালিয়ে যান। ঘটনায় শ্রমিক মো. আকতারুল ইসলাম, মো. কামাল হোসেন, মো. বাবু মিয়াসহ বেশ কয়েকজন রক্তাক্ত হন।

এর একপর্যায়ে ম্যানেজার মো. বাদশা আলম মাটিতে পড়ে গেলে তার প্যান্টের পকেটে থাকা পাথর ক্রয় করার লক্ষ ৬৫ হাজার ৫০০ টাকা কেড়ে নিয়ে ব্রীজের কাজ করতে দিবে না বলে ভয়ভীতি হুমকি দিয়ে হামলাকারীরা সটকে পরেন। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় আহতদের কাউনিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয় এবং শ্রমিক মো. আকতারুল ইসলাম গুরুত্বর জখম হওয়ায় তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

তবে এজাহার ভূক্ত ১০নং আসামী মো. আব্দুল মান্নান বলেন, আমি আগে কখনো ওখানে যায়নি সেদিন মারামারির কখা শুনে গিয়ে দেখি কয়েকজন অসুস্থ, তাদের দ্রুত হাসপাতালে নিতে সহায়তা করি তারপরও আমার নামে মামলা দিয়েছে। আমি তিনদিন জেলও খেটে আসলাম এবার দেখি ঠিকাদার কিভাবে কাজ করে এখানে। এদিকে এজাহার ভূক্ত আসামীরা বিগত ২০২১ সালে আরেক উপ-সহকারী প্রকৌশলীকে মারধর করেন পরে আর কোনদিন এমন কাজ করবেন না বলে মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।

ঘটনার ব্যাপারে আহত উপ-সহকারী প্রকৌশলী (রংপুর বিভাগ গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প) মো. ফিরোজ মিয়া বলেন, সেদিন আমি লোকজন দেখে এগিয়ে গেলে আমাকে মারডাং করে। আমি স্যারকে বিষয়টি জানিয়েছি। কাউনিয়া উপজেলা প্রকৌশলী মো. আসাদুজ্জামান জেমি বলেন, আমাদের প্রকৌশলী শ্রমিকদের মারধর, সরকারি কাজে বাধা প্রদান করার বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে অবহিত করেছি। ওনারা যে নির্দশনা দিবেন সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিব।

ব্যাপারে মামলার তদন্ত অফিসার এসআই মো. সাজু মিয়া বলেন, অভিযোগ পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে আমরা গিয়েছি। মামলায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পলাতকদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত আছে।

এমআর

No comments:

Post a Comment