Monday, September 23, 2024

কাউনিয়ায় আখ চাষিদের সুদিন


মিজানুর রহমান, কাউনিয়া 
রংপুরের কাউনিয়ায় আখ চাষিদের এখন সুদিন চলছে। চাহিদার চেয়ে আখের উৎপাদন কম হওয়ায় আগের চেয়ে দামও বেশি। ফলে আখ চাষিদের মুখে হাসি ফুটেছে। উপজেলায় এবার ১৫ হেক্টর জমিতে উচ্চ ফলনশীল গেন্ডারি উফশি কালো বোম্ব স্থানীয় জাতের আখ চাষ করা হয়েছে। তিস্তা নদী বেষ্টিত চরবিশ্বনাথ, আজমখাঁ, চরগনাই, গদাই, চরঢুষমাড়া, গোপিডাঙ্গা, মধ্য হরিশ্বর, আরাজি হরিশ্বর, চরনাজিরদহ, প্রাণনাথচর, চরচতুরা, ধুমগাড়াসহ উপজেলার ২৯টি চরে অন্য ফসলের পাশাপাশি চিবিয়ে খাওয়া আখের প্রচুর চাহিদা অত্যন্ত লাভজনক হওয়ায় আখ চাষে কৃষকের আগ্রহ বেড়েছে।

মধ্য হরিশ্বর গ্রামের কৃষক মিজানুর রহমান জানান, চলতি মওসূমে প্রায় ৬০ শতাংশ জমিতে হলুদ বর্ণের গেন্ডারি আখ চাষ করেছেন। এতে তার খরচ হয়েছে অন্তত ৪৫ হাজার টাকার মতো। আখ চারা রোপণ করেই সাথী ফসল হিসেবে কাঁচামরিচ আবাদ করে ব্যয় অনেকটা পুশিয়ে নিয়েছেন। আখ বিক্রি শুরু করেছেন তিনি। এবারে তার লাখ ৫০ হাজার টাকার ওপরে আয় হবে বলে আশা করেন। সেই সাথে তিনি আগামী মওসূমে রোপণের জন্য আখ গাছও সংরক্ষণ করেছেন।

হরিশ্বর বটতলা এলাকার আখ চাষি ইদ্রীস আলী জানান, আশ্বিন মাসের শুরুতে আখের চারা রোপণ করা হয়। অনেক দুরদুরান্তের পাইকার আসে। বর্তমানে আখ ক্ষেত থেকেই একশো গেন্ডারি বারশো থেকে চৌদ্দশো টাকা আর দেশী জাতের আখ সাতশো থেকে সাড়ে সাতশো টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। আখ বছরে একবার ফলন হলেও বিক্রি করে একসাথে মোটা অংকের টাকা পাওয়া যায়। এছাড়া আখ গাছের পাতা গো-খাদ্য জ্বালানী হিসেবে ব্যবহার হয়। ফলে আখ চাষিদের সুদিন ফিরেছে!

তবে কৃষকরা সহজ শর্তে কৃষি ঋণ, চাষাবাদে প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষন, উন্নত বীজ আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি সরবরাহ, সংরক্ষণাগার বিপণন ব্যবস্থা চালু না থাকায় কাঙ্খিত লাভ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন দাবী চাষিদের।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু মো. মনিরুজ্জামান বলেন, চরাঞ্চলের পলিযুক্ত উর্ব্বর মাটিতে আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় আখের ভালো ফলন হয়েছে। এবার ১৫ হেক্টর জমির ৮০২ মেট্রিকটন আখ উৎপাদনের যে লক্ষ্যমাত্রা ছিল তা ছাড়িয়ে যাবে। কৃষি উৎপাদন বাড়াতে কৃষকদের মধ্যে প্রশিক্ষণ, পরামর্শ প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। আখ চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে। আখে উচ্চমূল্য পাচ্ছেন চাষিরা। আখ চাষে উৎসাহিত করতে কৃষি বিভাগ কাজ করছে।

এমআর  

No comments:

Post a Comment