মিজানুর রহমান, কাউনিয়া
মধ্য হরিশ্বর গ্রামের কৃষক মিজানুর রহমান জানান, চলতি মওসূমে প্রায় ৬০ শতাংশ জমিতে হলুদ বর্ণের গেন্ডারি আখ চাষ করেছেন। এতে তার খরচ হয়েছে অন্তত ৪৫ হাজার টাকার মতো। আখ চারা রোপণ করেই সাথী ফসল হিসেবে কাঁচামরিচ আবাদ করে এ ব্যয় অনেকটা পুশিয়ে নিয়েছেন। আখ বিক্রি শুরু করেছেন তিনি। এবারে তার ১ লাখ ৫০ হাজার টাকার ওপরে আয় হবে বলে আশা করেন। সেই সাথে তিনি আগামী মওসূমে রোপণের জন্য আখ গাছও সংরক্ষণ করেছেন।
হরিশ্বর বটতলা এলাকার আখ চাষি ইদ্রীস আলী জানান, আশ্বিন মাসের শুরুতে আখের চারা রোপণ করা হয়। অনেক দুরদুরান্তের পাইকার আসে। বর্তমানে আখ ক্ষেত থেকেই একশো গেন্ডারি বারশো থেকে চৌদ্দশো টাকা আর দেশী জাতের আখ সাতশো থেকে সাড়ে সাতশো টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। আখ বছরে একবার ফলন হলেও বিক্রি করে একসাথে মোটা অংকের টাকা পাওয়া যায়। এছাড়া আখ গাছের পাতা গো-খাদ্য ও জ্বালানী হিসেবে ব্যবহার হয়। ফলে আখ চাষিদের সুদিন ফিরেছে!
তবে কৃষকরা সহজ শর্তে কৃষি ঋণ, চাষাবাদে প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষন, উন্নত বীজ ও আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি সরবরাহ, সংরক্ষণাগার ও বিপণন ব্যবস্থা চালু না থাকায় কাঙ্খিত লাভ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন দাবী চাষিদের।
No comments:
Post a Comment